ভালো ব্যবসার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করব: জাপানি ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের ব্যবসায়ী নেতাদেরকে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজতে বাংলাদেশে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, 'আমরা ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি অব্যাহত রাখব এবং বাংলাদেশে ব্যবসা করতে আপনাদের সকলের জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করব।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোটেল ওয়েস্টিনে নির্বাচিত জাপানি ব্যবসায়ী নেতাদের (সিইও) সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে কাজ করা জাপানি কোম্পানির সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে ২০১৪ সাল থেকে যখন আমরা আমাদের বিস্তৃত অংশীদারিত্বে প্রবেশ করি এবং বিগ-বি উদ্যোগের অধীনে জাপানের অঙ্গীকারে প্রবেশ করি।'
তিনি আরও বলেন, তিনি নিশ্চিত যে জাপানি ব্যবসায়ীরাও এই ক্রমবর্ধমান প্রবণতা অনুসরণ করছে এবং তারা তাদের বিদ্যমান ব্যবসা সম্প্রসারণ বা বাংলাদেশে নতুন ব্যবসা খোলার দিকে ইতিবাচকভাবে আগ্রহী হবে। 'আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমার সরকার এবং সমস্ত প্রাসঙ্গিক সংস্থাগুলো আপনাদেরকে এবং জাপানে আমাদের অন্যান্য বন্ধুদের বাংলাদেশে ব্যবসায়িক প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে আগ্রহী।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'বিগত ৫ দশকে দু'দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দৃষ্টান্তমূলক ফলাফল দেখে আমাদের প্রত্যাশা, আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশে জাপানের আরও বড় পদচিহ্ন থাকবে। আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে জাপানি সংস্থাগুলোর উত্থাপিত বেশ কয়েকটি নিয়ন্ত্রক এবং নীতিগত সমস্যার সমাধান করেছি।'
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি নিজেই বাংলাদেশ-জাপান যৌথ পাবলিক-প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়ালগ (পিপিইডি) গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন এবং জাপানে পৌঁছানোর ঠিক আগে ১১ এপ্রিল পিপিইডির পঞ্চম রাউন্ডের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে উদার বৈদেশিক বিনিয়োগ ব্যবস্থা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিযোগিতামূলক ব্যয়, প্রচুর মানবসম্পদ, উচ্চ ক্রয়ক্ষমতাসম্পন্ন দেশীয় ভোক্তা বাজার এবং ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির দিক থেকে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক স্থান হিসেবে দ্রুত আবির্ভূত হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হতে সচেষ্ট রয়েছে। আমরা সারা দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক প্রতিষ্ঠা করছি। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটি পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ করছে। টোকিওতে আমাদের দূতাবাস বাংলাদেশে আপনাদের উদ্যোগকে সহযোগিতা ও সহজতর করতে প্রস্তুত।'
জাপানের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
Comments