বঙ্গবন্ধু প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ: প্রধানমন্ত্রী

আজকের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ।

জাতীয় সংসদের ৫০তম বার্ষিকী (সুবর্ণজয়ন্তী) উপলক্ষ্যে আজ শুরু হওয়া বিশেষ অধিবেশনের প্রাক্কালে সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে যোগদানের পর বঙ্গবন্ধু ও তার ভাষণের ওপর ২টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, 'তিনি (বঙ্গবন্ধু) তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ কীভাবে চলবে—তার দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। সুতরাং, এটি আমাদের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ।'

২টি বইয়ের একটি হলো—সংসদে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সংকলন ও অন্যটি হলো—'মুজিব বর্ষ' উপলক্ষ্যে ডাকা সংসদের বিশেষ অধিবেশনে প্রদত্ত আইনপ্রণেতাদের ভাষণের সংকলন।

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্য (এমপি), জনগণ ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশ ও এর জনগণকে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, ৫০ বছরে আমাদের প্রজন্ম বা পরবর্তী প্রজন্ম, প্রজন্মের পর প্রজন্ম বক্তৃতা জানবে এবং এর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে বোঝার, জনগণের অবস্থা, তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সবকিছু জানার সুযোগ পাবে।

প্রধানমন্ত্রী সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেওয়া সংসদ সদস্যদের বক্তৃতার সংকলনের প্রশংসা করে বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

এ ব্যাপারে তিনি স্পিকার, সংসদ সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

সংবিধান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান। কারণ এতে সর্বস্তরের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশের জাতির পিতা বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গণপরিষদ গঠন করেন।

সরকার প্রধান বলেন, মাত্র ৯ মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন—যা ইতিহাসের একটি বিরল ঘটনা।

শেখ হাসিনা বলেন, এটিকে সম্ভবত গোটা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এর মাধ্যমে গরিব, অভাবী, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, 'সংবিধানে সুবিধাবঞ্চিতসহ সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই নির্বাচনে ৭টি ছাড়া বাকি সব আসনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এই কার্য উপদেষ্টা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

12h ago