সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে মা করিমন নেছা

মানববন্ধনে শামসুজ্জামানের মা করিমন নেছা ছাড়া আরও তার ভাবী ও হলি আর্টিজান হামলায় নিহত এসি রবিউল করিমের স্ত্রী সালমা আক্তার এবং মামাতো ভাই ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। ছবি: আকাশ মাহমুদ/স্টার

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন তার মা করিমন নেছা।

আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে শামসুজ্জামান শামসের নিঃশর্ত মুক্তি, অবিলম্বে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের মামলা প্রত্যাহার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের ডাউটি এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়ে।

ধামরাই রিপোর্টার্স ক্লাব, ধামরাই উপজেলা প্রেসক্লাব ও স্থানীয়রা যৌথভাবে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত থাকলেও কোনো কথা বলেননি শামসুজ্জামানের মা করিমন নেছা।

এছাড়াও মানববন্ধনে শামসুজ্জামানের ভাবী ও হলি আর্টিজান হামলায় নিহত এসি রবিউল করিমের স্ত্রী সালমা আক্তার এবং মামাতো ভাই ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

মানবন্ধনে কান্নায় ভেঙে পড়েন শামসুজ্জামানের মা করিমন নেছা। ছবি: আকাশ মাহমুদ/স্টার

শামসুজ্জামানের মামাতো ভাই ফারুক হোসেন বলেন, 'সাংবাদিক শামসুজ্জামানের পরিবারের কারো বিরুদ্ধে কোনো কালো দাগ নেই। এটি এমন একটি পরিবার যে পরিবারের সন্তান রবিউল করিম দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। অথচ এমন একটি পরিবারের সন্তানকে আজ সংবাদ প্রকাশের জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো বিতর্কিত কালো আইনের মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা অবিলম্বে আমার ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।'

ধামরাই রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আদনান হোসেন বলেন, 'বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বারবার সাংবাদিকরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। আজ আমাদের ভাই সাংবাদিক শামসুজ্জামান এই আইনের শিকার হয়ে কারাবন্দী অবস্থায় আছেন। আমরা অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানাই।'

মানববন্ধনে বিভিন্ন পত্রিকার স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রায় শতাধিক এলাকাবাসী অংশ নেন।

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

4h ago