শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন বদরুল আহসান

ছবি: সংগৃহীত

প্রয়াত সাংবাদিক শাহ আলমগীরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে 'শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড' প্রদান শুরু করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। এবার এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন লেখক ও সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান।

আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। জুরিবোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অ্যাওয়ার্ড হাতে তুলে দেন। দেশের বাইরে থাকায় সৈয়দ বদরুল আহসানের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার ছোট ভাই ও বোন।

প্রতি বছর দেশের একজন বরেণ্য ব্যক্তিকে শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেসির নেতারা।

বিজেসির ট্রাস্টি রাশেদ আহমেদের সঞ্চালনায় ও চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, বিজেসির সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, শাহ আলমগীরের সহধর্মিণী ফৌজিয়া মায়াসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রয়াত সাংবাদিক শাহ আলমগীর ১৯৫৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার জাফরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক থাকা অবস্থায় শুরু করেন সাংবাদিকতা। কিশোর বাংলা পত্রিকা দিয়ে কাজের শুরু হলেও পরে দৈনিক জনতা, দৈনিক আজাদী, বাংলার বানী, সংবাদ, চ্যানেল আই, একুশে টেলিভিশন, যমুনা টেলিভিশন, মাছরাঙা টেলিভিশন ও এশিয়ান টেলিভিশনে কাজ করেন তিনি।

১৯৮৭ সালে দৈনিক আজাদী পত্রিকায় কাজ করতে গিয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য হন। বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব, ডিউইজের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যও। ২০১৩ সালের ৭ জুলাই থেকে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিউটের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন তিনি। এখানে থেকেই তিনি অবৈতনিকভাবে সারাদেশের সাংবাদিকদের জন্য সরকার গঠিত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ বদরুল আহসানের জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। তিনি একাধারে শিক্ষক ও সাংবাদিক। লেখালেখির সঙ্গেও যুক্ত। দ্য নিউ ন্যাশন, বাংলাদেশ অবজারভার, দ্য মর্নিং সান, নিউজ টুডে, নিউ এজ, সাপ্তাহিক ঢাকা কুরিয়ার, দ্য ডেইলি স্টার, ডেইলি অবজারভার, এশিয়ান এজ পত্রিকার বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন তিনি। পড়িয়েছেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

4h ago