বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ৯ জেলের ৪ জন উদ্ধার, হাসপাতালে একজনের মৃত্যু
জলদস্যুর কবল থেকে বাঁচতে বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ বরগুনার ৯ জেলের মধ্যে ৪ জনকে সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে তাদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একজনের মৃত্যু হয়।
মৃত আব্দুল হাই বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা।
র্যাব-৮ এর পটুয়াখালী কোম্পানি অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার তুহিন রেজা বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধারকৃত অপর ৩ জেলে কাইউম জোমাদ্দার, ইয়াছিন জোমাদ্দার ও শফিকুল মাঝি পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এখনো নিখোঁজ আছেন আবুল কালাম, খাইরুল ইসলাম, আবদুল আলীম ও ফরিদ। অপর এক জেলের নাম পাওয়া যায়নি।
তুহিন রেজা বলেন, 'নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড ও র্যাবের যৌথ টিম একটি ট্রলার ও একটি স্পিডবোটের মাধ্যমে সাগরে টহল দিচ্ছে। এ ছাড়াও, বরগুনা জেলা মৎস্য ট্রলার মালিক সমিতির ৫টি ট্রলার সাগরে উদ্ধার অভিযানে রয়েছে।'
বরগুনা জেলা মৎস্য ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল ৮টার দিকে বরগুনার তালতলী এলাকার একটি ট্রলার সাগরে মাছ ধরার সময় ৪ জেলেকে ভাসতে দেখে তাদের উদ্ধার করে দুপুরে পাথরঘাটায় নিয়ে আসে।'
তিনি আরও জানান, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে পাথরঘাটা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ২৫-৩০ জনের একটি জলদস্যু বাহিনী একটি মাছ ধরা ট্রলারে হামলা চালায়। জলদস্যু বাহিনী ওই ট্রলারের ১৮ জেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। জলদস্যুদের কবল থেকে বাঁচতে ৯ জেলে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিখোঁজ হন। তবে অন্য একটি ট্রলারের জেলেরা জলদস্যুদের হামলায় আহত ৯ জেলেকে উদ্ধার করে শুক্রবার সন্ধ্যায় পাথরঘাটায় নিয়ে আসে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত দুজনকে শনিবার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় মজুমদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাগরে ট্রলার ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'
Comments