‘কাজে ফিরে নিজেকে সুস্থ করেছি’

কাজে ফিরেছেন আবু হেনা রনি। ছবি: সংগৃহীত

'কেউ সুস্থ হয়ে কাজে ফেরে, আমি কাজে ফিরে নিজেকে সুস্থ করেছি। এখন নিয়মিত কাজ করছি।'

স্বভাবসুলভ কণ্ঠে দ্য ডেইলি স্টারকে কথাগুলো বলছিলেন কমেডিয়ান ও কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি।

গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুর পুলিশ লাইনে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে তিনি দগ্ধ হন। দীর্ঘ ১ মাস শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়ে ১৫ অক্টোবর বাড়ি ফেরেন তিনি।

এরপর কেটে গেছে প্রায় ৪ মাস।

কাজে ফেরার অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে রনি বলেন, 'বাংলাভিশনে আমার একটা নিয়মিত অনুষ্ঠান হয়, যেটা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর অনেক দিন থেমে ছিল। এক পর্যায়ে টেলিভিশনটির হেড অব প্রোগ্রাম তারেক ভাই আমাকে সুযোগ দেন ব্যান্ডেজ নিয়েই অনুষ্ঠানটিতে কাজ করার। তিনি বলেছিলেন, "মানুষ তো তোমার বিষয়টি জানেই।" অনস্ক্রিন বিষয়টি ভালো দেখায় না বলে সাধারণত এভাবে কেউ কাজ করাতে চান না, কিন্তু তিনি সুযোগটা আমাকে দিয়েছিলেন।'

 'এর বাইরে অন্য কিছু চ্যানেলেও কাজ করেছি। আর এখন তো স্টেজ শোর সিজন, নিয়মিতই শো করছি। এটা খুব বেশি দরকার ছিল।'

অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনার পর স্টেজ শোয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, 'প্রতিটি শো শুরু হওয়ার পর মানুষ আগে জানতে চান আমার শরীর কেমন, পুরোপুরি সুস্থ হয়েছি কি না। প্রশ্ন করেন, "কী হয়েছিল? পুড়লেন কেমনে?'' সবাই কাছে এসে একটু দেখেন। সবার এই ভালোবাসা এক অন্যরকম প্রাপ্তি।'

হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার দিন রনি বলেছিলেন, 'পোড়া রোগীর কী যে কষ্ট, তা নিজের না পুড়লে বোঝা যাবে না।'

এখন কেমন আছেন? সেই কষ্ট কী এখনো ভোগায়? জানতে চাইলে এই কৌতুক অভিনেতা বলেন, 'সাধারণভাবে বলতে গেলে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছি। আমার বাম হাতটা বেশি পুড়েছিল। যখন প্রচণ্ড শীত পড়লো, তখন সকালে ঘুম থেকে উঠে মনে হতো হাত প্যারালাইজড রোগীর মতো কুঁকড়ে আছে। হাত টান করতে ব্যথা লাগতো। ধীরে ধীরে ম্যাসেজ করলে, একটু রোদে বসে থাকলে আবার স্বাভাবিক হতো। শীতের মধ্যে রগগুলোতে একটু টান ধরে, কুচকে যায়। মুখের পোড়া দাগগুলো প্রায় চলেই গেছে, দেখলে কেউ বুঝতে পারবে না যে পুড়েছিল। তবে, হাতের দাগগুলো এখনো আছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Jatiyo Party's office set on fire in Khulna

Protesters vandalised the Jatiyo Party office in Khulna's Dakbangla area last evening

1h ago