মরণোত্তর দেহদান: নন্দিতার কর্নিয়ায় চোখের আলো ফিরল ২ জনের

নন্দিতা বড়ুয়া, মরণোত্তর দেহদান, কর্নিয়া, চোখের আলো,
নন্দিতা বড়ুয়া। ছবি: সংগৃহীত

ঊনসত্তর বছরের নন্দিতা বড়ুয়ার মরণোত্তর দেহদানে তার কর্নিয়ায় চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন ২ জন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় বলে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

গত সোমবার ঢাকার বাসাবোর বাসিন্দা নন্দিতা বিএসএমএমইউ এর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। পাশাপাশি সিস্টেমিক লুপাস এরিথেমেটাস (এসএলই) ও ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জীবদ্দশাতে মরণোত্তর দেহদানের ব্যাপারে সন্তানদের কাছে ইচ্ছাপোষণ করে গিয়েছিলেন নন্দিতা। তার মৃত্যুর পর পরিবারের সম্মতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্নিয়া বিশেষজ্ঞরা কর্নিয়া সংগ্রহ করেন।

গত মঙ্গলবার বিএসএমএমইউর চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শীষ রহমান পটুয়াখালীর দশমিনার আব্দুল আজিজের চোখে ও অপথালমোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজশ্রী দাস ঝালকাটি জেলার কাওখালী কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসির চোখে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করেন।

১৯৫৩ সালের ২ জুন চট্টগ্রামের পটিয়ার কোলাগাঁও গ্রামে নন্দিতার জন্ম। স্বামী বাবুল প্রসাদ বড়ুয়া ছিলেন বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের কর্মকর্তা। তার ২ মেয়ে, এক ছেলের মধ্যে মেয়ে শাপলা বড়ুয়া একজন আইনজীবী, সেঁজুতি বড়ুয়া কবি ও সাহিত্যিক।

গতকাল আয়োজিত অনুষ্ঠানে নন্দিতা বড়ুয়ার দুই মেয়ে শাপলা বড়ুয়া এবং সেঁজুতি বড়ুয়াও মরণোত্তর দেহদানের ইচ্ছা পোষণ করেন।

বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, নন্দিতা বড়ুয়ার এই মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা করি। দেশের প্রথম ক্যাডাভেরিক অঙ্গদাতা হিসেবে সারাহ ইসলাম বাংলাদেশের মানবকল্যাণে দেহদানে ইতিহাস হয়ে রয়ে যাবেন। সারাহর পথ অনুসরণ করে অনেকেই ক্যাডাভেরিক অঙ্গদান ও মরণোত্তর দেহদানের আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন। নন্দিতা বড়ুয়ার এই অবদান মানবজাতি মনে রাখবে।

তিনি দেশের সব মানুষের প্রতি এই মহতী কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

16h ago