সরকারের ব্যর্থতা থাকলে বিরোধী দলকে খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তৃতা করেন। ছবি: পিআইডি

সরকারের ব্যর্থতা থাকলে বিরোধী দলকে তা খুঁজে বের করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সততা নিয়ে কাজ করলে কেন ব্যর্থ হতে হবে এমন প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সফলতা কী, ব্যর্থতা কী এটা যাচাই করবে জনগণ। এটা যাচাই আমার দায়িত্ব না। সততা ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কল্যাণ বিবেচনা করে কাজ করলে ব্যর্থ হব কেন? কোথায় সাফল্য, কোথায় ব্যর্থতা সেটা জনগণই করবে।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মাননীয় সদস্যের যখন এতই আগ্রহ তাহলে আমার ব্যর্থতাগুলো আপনিই খুঁজে বের করে দিন, আমি সংশোধন করে নেব।'

বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে ফখরুল তার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার ব্যর্থতা জানতে চান।

এ কে এম রহমতুল্লাহর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান বন্দী যুদ্ধাপরাধীদের ‍মুক্ত করে দেয়। তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে। সংবিধানের দুটি ধারায় পরিবর্তন এনে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। ভোটের অধিকার দেয়। গোলাম আযমসহ অনেক যুদ্ধাপরাধীদের পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দেয়। জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের উপদেষ্টা বানায়, মন্ত্রী বানায়। তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসে এদের কেবিনেটে স্থান দেয়। মন্ত্রী বানায়। এভাবে যুদ্ধাপরাধীদের প্রশ্রয় দেয়া একটি জাতির জন্য কলঙ্কজনক।

ইতিহাস বিকৃতকারী কাকে রেখে কার বিচার করব?

জাতীয় পাার্টির পীর ফজলুর রহমান সম্পূরক প্রশ্নে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিচারের আওতায় আনতে আইন প্রণয়ন করবেন কী না তা জানতে চান।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'স্বাধীনতা ইতিহাস '৭৫ এর পর বিকৃতি শুরু হয়। জাতির পিতাকে হত্যাকারী ও ক্ষমতা দখলকারীরা এই বিকৃতি শুরু করে। ধারাবাহিকভাবে তা ২১ বছর চলতে থাকে।'

তিনি বলেন, 'আমি যদি ঠিক ৯৬ এর আগে যাই। তাহলে কাকে রেখে কার বিচার করব। এটা হলো বাস্তবতা। আমি দেখি ৭৫ এর পর যারাই ছিলেন। এমন কি যারা সত্য কথাটাও জানতেন তারাও মিথ্যার ওপর আশ্রয় নিয়েছিলেন। এটা হচ্ছে দুর্ভাগ্য। খুব স্বল্প সংখ্যক মানুষ এর প্রতিবাদ করেছেন বা সঠিক ইতিহাসের ধারাবাহিকতাটা বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। এদের বিচার করতে গেলে তো কাকে রেখে কাকে বিচার করব সেটা একটা প্রশ্ন।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যারা ইতিহাস বিকৃত করেছে ইতিহাসই তাদের বিচার করে দিয়েছে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢেকে রাখা যায় না। যারা ইতিহাস বিকৃত করেছে তাদের চরিত্রটা মানুষের কাছে প্রকাশ পেয়েছে। কত জঘণ্য কাজ তারা করে গেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Drug sales growth slows amid high inflation

Sales growth of drugs slowed down in fiscal year 2023-24 ending last June, which could be an effect of high inflationary pressure prevailing in the country over the last two years.

17h ago