বাহরাইন ও মালদ্বীপে ৫১ হাজার প্রবাসী কর্মী বৈধ হয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কূটনীতিক তৎপরতায় বাহরাইন ও মালদ্বীপে ৫১ হাজার প্রবাসী কর্মী বৈধ হয়েছেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বাহরাইনে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশী কর্মীদের বৈধ করার জন্য কূটনীতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৫ হাজার কর্মী বৈধ হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।'
করোনাকালে অবশ্য ৫ হাজার বাংলাদেশী কর্মী ওই দেশ থেকে স্থায়ীভাবে দেশে ফেরত আসেন বলে জানান তিনি।
সাধারণ ক্ষমার আগে বাহরাইনে ৫৮ হাজার কর্মী অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন বলেও জানান মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন আরও বলেন, 'মালদ্বীপ সরকার অনিয়মিত শ্রমিকদের নিয়মিতকরণের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৬ হাজার বাংলাদেশী কর্মী নিয়মিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।'
৬০ দেশে বাংলাদেশের ৮১ মিশন
বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে বাংলাদেশের ৮১টি মিশন চালু আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, 'বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে বাংলাদেশের ৮১টি মিশন চালু আছে। এর মধ্যে ১৭টি মিশনে বাংলাদেশের মালিকানাধীন নিজস্ব চ্যান্সারি ভবন এবং ১৪টি মিশনে নিজস্ব মালিকানাধীন রাষ্ট্রদূতের বাসভবন আছে।'
এছাড়া ৫টি মিশনে বাংলাদেশের মালিকানাধীন জমি আছে এবং ৭টি মিশনে বাংলাদেশের মালিকানাধীন নিজস্ব জমিতে ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবন নির্মাণে প্রকল্প চলমান আছে বলে জানান তিনি।
দেশগুলো হলো-যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক কনস্যুলেট জেনারেল (যুক্তরাষ্ট্র), কেনিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রাজিল, ব্যাংকক, প্যারিস ও গ্রীস।
মন্ত্রী বলেন, '৪টি দেশে সশস্ত্র বাহিনী থেকে প্রেষণে রাষ্ট্রদূত নিয়োজিত আছেন। তারা হলেন লেবাননের মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান, কুয়েতে মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামান, মালদ্বীপের রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ এবং ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।'
সরকার দলীয় সংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলতে বর্তমানে ১৪ জন কূটনীতিক চুক্তিভিত্তিক কর্মরত আছে।
তাদের মধ্যে ১০জন রাষ্ট্রদূত ও হাই-কমিশনার, ২ জন মিনিস্টার, ১ জন কাউন্সেলর এবং ১ জন তৃতীয় সচিব।
১০ রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার হলেন-মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, রাশিয়ার কামরুল আহসান, কানাডার হাইকমিশনার মো. খলিলুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্রের মোহাম্মদ ইমরান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের এম আবু জাফর, জাপানের শাহবুদ্দিন আহমেদ, জার্মানির মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ইরাকের মো. ফজলুল বারী, সৌদি আরবের মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এবং ভূটানের রাষ্ট্রদূত শিব নাথ রায়। তারা চুক্তিভিত্তিক দায়িত্বে আছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনিস্টার ও উপ কনসাল জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম, যুক্তরাজ্যের মিনিস্টার সাব্বির বিন শামস, কানাডার কাউন্সেলর অপর্ণা রাণী পাল এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় সচিব আসিব উদ্দীন আহমেদ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত।
Comments