বকেয়া মজুরিসহ ৫ দাবিতে চা শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে ইমাম ও বাওয়ানী দুই চা বাগানের শ্রমিকরা। ছবি: সংগৃহীত

বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ৫ দাবিতে হবিগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন চা শ্রমিকরা। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের রোকনপুর বাজারে মহাসড়ক অবরোধ করেন ইমাম ও বাওয়ানী দুটি চা বাগানের শ্রমিকরা। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নিয়ে মানববন্ধন করেন। 

অপর দাবিগুলো হলো-২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ সালের বকেয়া বোনাস (পাওনা) পরিশোধ, রেশন, চিকিৎসা এবং স্থায়ী বাসস্থান নিশ্চিত করা।

ইমাম চা বাগানের সভাপতি রামভজন রবিদাশ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইমাম ও বাওয়ানী ২ চা বাগানের ৬০০ নারী-পুরুষ চা শ্রমিক ও তাদের পরিবারসহ প্রায় ২ হাজার লোকের বসবাস পানিউমদা ইউনিয়নে। দীর্ঘদিন ধরে এ দুটি বাগানের কার্যক্রম ম্যানেজার ছাড়াই চলছে।' 

তিনি জানান, গত ৪ সপ্তাহ ধরে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি, রেশনের ১৮ লাখ ১৪ হাজার টাকা, ২০১৯-২০২০ সালের শ্রমিকদের বকেয়া বোনাসের ২৩ লাখ ২২ হাজার টাকা, ২০২২ সালের বকেয়া বোনাসের ৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেনি মালিক পক্ষ। 

বাওয়ানী চা বাগানের সভাপতি গোপেন ঝড়া ডেইলি স্টারকে জানান, বিষয়টি বাংলাদেশ চা বোর্ড ও হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু এতেও সমাধান না হওয়ায় গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে কর্মবিরতি পালন করছে দুই বাগানের চা-শ্রমিকরা। 

এরপরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন শ্রমিকরা। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।  

দ্রুত বিষয়টি সমাধান না হলে, বড় আকারে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল।

এ প্রসঙ্গে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের মালিক জি কে মাইনুদ্দিন চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাগানের এর আগে কখনো এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। ব্রোকাররা আমাদের টাকা না দেওয়ায় ৪ সপ্তাহ ধরে শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছি না। তবে আমরা তাদের রেশন দিয়ে যাচ্ছি। দ্রুত বিষয়টি সমাধান করা হবে।'

শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় চা পাতা নষ্ট হয়ে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান শাহরীয়ার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাগানের মালিক পক্ষ বেতন, বকেয়া বোনাস না দেওয়ার শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। আমারা এ বিষয়টি সমাধানের জন্য মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।' 

তিনি বলেন, 'দুটি চা বাগানে ২৭৫টি চা শ্রমিক পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের মালিক পক্ষের কাছে সরকারের খাজনা বাবদ প্রায় ৬৫ লাখ টাকা বকেয়া আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt to expedite hiring of 40,000 for public sector

The government has decided to expedite the recruitment of 6,000 doctors, 30,000 assistant primary teachers, and 3,500 nurses to urgently address the rising number of vacancies in key public sector positions.

7h ago