নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঢাকার আকাশ ছেয়ে গেছে ফানুস-আতশবাজিতে

রাজধানীর বারিধারায় জোয়ার সাহারা এলাকায় আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপন। ছবি: আরাফাত সেতু/স্টার

ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে ঢাকার আকাশ ফানুসে ছেয়ে গেছে, বাসা-বাড়ির ছাদে ছাদে ফোটানো হয়েছে আতশবাজি।   

শনিবার সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় ফানুস উড়তে দেখা যায়। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় ঢাকাবাসী। আতশবাজির ঝলকে রঙ্গিন হয়ে উঠেছিল ঢাকার আকাশ। পটকার শব্দে প্রকম্পিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। প্রায় প্রতিটি বাসার ছাদেই ভবনের বাসিন্দারা ভিড় করেন ফানুস-আতশবাজি উড়িয়ে ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করতে।

ছবিটি মিরপুর ১ এলাকা থেকে তোলা। ছবি: সংগৃহীত

ধানমন্ডিতে চারপাশ থেকে আগুনের ফুলের মতো আতশবাজি ফুটেছে। তীব্র শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠেছে চারদিক। আকাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। অসংখ্য ফানুস উড়েছে। এখনও ফুটে চলেছে আতশবাজি। ভয়ে অনেক পাখি ওড়াওড়ি করেছে। কয়েকটা কবুতর বাসার ছাদে আশ্রয় নিয়েছে।

মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকায় রাত ১০ টার আগেই ফানুস ওড়াতে দেখা গেছে, দেখা গেছে আতশবাজি ফুটতেও। রাত ১১টার পর আদাবর এলাকার আকাশে অসংখ্য ফানুস উড়তে দেখা যায়। ১২টার দিকে শুরু হয় আতশবাজির বিকট শব্দ।

রামপুরা একরামুন্নেসা হাইস্কুল এলাকার বাসিন্দা আবাদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাদে উঠে আমরা উদযাপন করেছি। এলাকার সবাই আকাশে শত শত ফানুস, আতশবাজি ও পটকা ফুটিয়ে সবাই ভীষণ আনন্দ করেছে।' 

এদিকে আতশবাজির বিকট শব্দ ও ফানুসের আগুনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাখিদের আতঙ্কিত হয়ে ডাকাডাকি করতে গেছে। শহরের অলিগলিতে অনেক কুকুর-বিড়ালদেরও আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি করতে দেখা গেছে। 

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৪টি আগুনের খবর পেয়েছি। এর মধ্যে ২টি এলাকায় ফানুস থেকে আগুন ধরেছিল। তবে এখন পর্যন্ত তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।'

 

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares August 5 as ‘July Mass Uprising Day’

It also declared August 8 as "New Bangladesh Day" and July 16 as "Shaheed Abu Sayed Day"

1h ago