৩ দিনের ছুটিতে কুয়াকাটার হোটেলে-মোটেলের ৯৫ শতাংশ বুকিং

বড় দিন, কুয়াকাটা, পদ্মা সেতু,
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাতে পর্যটকদের সমাগম বেড়েছে। ছবি: সোহরাব হোসেন

আগামী রোববার (২৫ ডিসেম্বর) খ্রিষ্ট সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব বড় দিন। এর আগের ২ দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। সবমিলিয়ে মোট ৩ দিনের ছুটি পেয়ে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাতে পর্যটকদের সমাগম বেড়েছে।

পদ্মা সেতুর চালুর পর রাজধানী ঢাকার সাঙ্গে যোগাযোগ সহজ হওয়ায় কুয়াকাটা নিয়ে পর্যটকদের আগ্রহ আগের চেয়ে বেশি। ৩ দিনের ছুটিতে এখানকার হোটেল-মোটেলগুলোর ৯৫ শতাংশ রুম আগাম বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চলতি মাসের প্রথম দিকে পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা। তবে, ১৫ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে। বর্তমানে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেলে আগাম বুকিং দেওয়া হয়েছে। তাই হোটেল-মোটেলগুলো ধোয়ামোছাসহ নতুন সাজে সাজানো হচ্ছে।

কুয়াকাটা সৈকতের বেঞ্চ ব্যবসায়ী করিম মিয়া বলেন, 'আজ থেকে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। মনে হচ্ছে আগামী ৩ দিন এখানে তিল ধারণের ঠাঁই থাকবে না। তাই আমরাও বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। যেন কোনো ভোগান্তি ছাড়াই পর্যটকদের সেবা দিতে পারি।'

সৈকতের আচার ব্যবসায়ী নূর জামাল মিয়া জানান, এ সপ্তাহে আগের তুলনায় আনারস, পেয়ারা ও আমড়ার অর্ডার দিয়েছি। কারণ ৩ দিনের সরকারি ছুটির কারণে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। আশা করছি এবার বিক্রি বাড়বে।'

কুয়াকাটার অন্যতম আবাসিক হোটেল 'খান প্যালেস'র ম্যানেজার আব্দুস শাকুর জানান, অমাদের হোটেলে ৪৯টি রুমের সবগুলোই আগামী ৩ দিনের জন্য বুকিং হয়েছে। আশা করি আগের লোকসান কিছুটা পুষিয়ে উঠতে পারব।'

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, 'ডিসেম্বরসহ শীতকালে এমনিতেই পর্যটক সমাগম বেশি থাকে। তার ওপর পদ্মা সেতু চালুর পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হওয়ায় পর্যটকদের ভিড় ধীরে ধীরে বাড়ছে। চলতি সপ্তাহে ৩ দিন সরকারি ছুটির কারণে এখানকার হোটেল-মোটেলের ৯৫ শতাংশ রুম ইতোমধ্যে বুকিং হয়েছে। আশা করছি আগামীকাল শতভাগ হোটেল বুকিং থাকবে।'

টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, 'কুয়াকাটায় বাড়তি পর্যটকের কথা মাথায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমাদের টিম সার্বক্ষণিক টহল দেবে। যেন নির্বিঘ্নে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। আগামীকাল থেকে বিভিন্ন স্পটে পুলিশের বাড়তি টহল থাকবে।'

Comments

The Daily Star  | English
 Al Bakhera killings Al Bakhera killings

Killings in Chandpur: Water transport workers go on strike

Water transport workers has started an indefinite strike from midnight

5h ago