ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়ক আটকে রেখে পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ

শ্রমিকরা আড়াআড়ি বাস দাঁড় করিয়ে কুমিল্লা-সিলেট সড়ক আটকে রাখেন। ছবি: মাসুক হৃদয়/স্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক পরিবহন নেতাকে 'থাপ্পড়' দেওয়ার ঘটনার জেরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক আটকে রেখে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় পরিবহন নেতা ও শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ২ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। 

বিক্ষোভ চলাকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি এমরানুল ইসলাম জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকাধীন ভাদুঘর বাস টার্মিনাল সংলগ্ন মাঠে বিজয় মেলার আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা। মেলার পাশের টার্মিনালে বাস রাখাকে কেন্দ্র করে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এক পরিবহন নেতাকে 'থাপ্পড়' দেন। 

এর প্রতিবাদে পরিবহন নেতারা মঙ্গলবার রাতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে আড়াআড়িভাবে তারা বাস রেখে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।

এ সময় শ্রমিকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুসের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। 

স্থানীয় পরিবহন নেতারা ডেইলি স্টারকে জানান, বিজয় মেলায় প্রবেশের প্রধান ফটকের পাশে বাঁশের খুঁটি দিয়ে বেড়া দেওয়ায় টার্মিনালে বাস পার্কিং করতে অসুবিধা হচ্ছিল। এ অবস্থায় বাস পার্কিংয়ের সুবিধার্থে একজন পরিবহন শ্রমিক গেটের পাশ থেকে একটি বাঁশের খুঁটি খুলে ফেলে। 

এ নিয়ে চট্টগ্রাম রোড বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সঙ্গে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনের গালে থাপ্পড় মারেন। 

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিবহন নেতা ও শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা তাৎক্ষণিক মহাসড়কে আড়াআড়ি বাস দাঁড় করিয়ে রেখে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা কুমিল্লা-সিলেট সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। পরে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা মহাসড়ক থেকে ছেড়ে দেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রণয় চাকমা ডেইলি স্টারকে জানান, পরিবহন নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরিবহন নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক আলোচনায় বসবেন। 

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

3h ago