অনির্দিষ্টকালের লঞ্চ ধর্মঘটে যাত্রীদের ভোগান্তি

নৌযান ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা
নৌযান ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ছবি: স্টার

ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকাসহ ১০ দফা দাবিতে সারা দেশে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকা নৌযান ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। 

শনিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এ লঞ্চ ধর্মঘটে পটুয়াখালী নদীবন্দরসহ সারা দেশে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

কর্মবিরতির কারণে ঢাকা-পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন লঞ্চঘাট থেকে ছাড়েনি লঞ্চ। অনেক যাত্রীকে লঞ্চঘাটে এসে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নের লাইলি বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জরুরি কাজে আজ ঢাকা যাওয়ার দরকার ছিল, পটুয়াখালী লঞ্চ ঘটে এসে জানতে পারলাম লঞ্চ বন্ধ।'

গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দি এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহমান মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এভাবে লঞ্চ বন্ধ করাটা ঠিক হয়নি। আমরা এখন কীভাবে যাব? আগে থেকে জানালে বিকল্প পথে যাওয়ার চেষ্টা করতাম, লঞ্চ ঘাটে আসতাম না।'

পটুয়াখালী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী দোতলা লঞ্চ সুন্দরবন-১৪-এর শ্রমিক আমির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে মালিকপক্ষকে বেতন বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারা আমাদের কোনো কথা শুনছেন না। আমাদের বেতন না বৃদ্ধি করা পর্যন্ত আমরা এভাবে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখব।'

প্রিন্স আওলাদ-৭ লঞ্চের শ্রমিক কালাম বলেন, 'সব কিছুর দাম বেড়েছে কিন্তু আমাদের বেতন বাড়েনি। পরিবার নিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হয় যায়। আমাদের বেতন যদি না বৃদ্ধি করা হয় আমরা না খেয়ে মারা যাব। মালিকপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি আমাদের বেতন বৃদ্ধি করা হোক।'

পটুয়াখালী নদীবন্দর কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শ্রমিকদের কর্মবিরতির বিষয়ে সরকার, মালিকপক্ষ এবং শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

Comments