‘বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ হারাবে’

বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ হারাবে।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে স্পষ্টতই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, সেটা হচ্ছে না।'

তবে সব দলের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা তৈরি করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে বলে মনে করেন তিনি।

তুরান আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটুং ও সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত 'মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর' অনুষ্ঠানে এসব বলেন।

সিজিএস মডারেটর জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাবেক কূটনীতিকরা।

মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, 'অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব রয়েছে।'

'আমি আশা করি, বিরোধী দল ও ক্ষমতাসীন দল উভয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে। এটা সম্ভব হলে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী হবে', যোগ করেন তিনি।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, 'অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা সরকার, রাজনৈতিক দল ও বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে, অন্য কোনো দেশের ওপর না।'

আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে তুরান বলেন, 'নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা যদি বস্তুনিষ্ঠ হয় তাহলে তা খুবই সহায়ক। তবে কখনো কখনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ খুবই সীমিত ও কখনো কখনো পর্যবেক্ষকদের রাজনৈতিক বিবেচনা সমস্যার কারণ হতে পারে।'

তিনি আরও বলেন, 'আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সুযোগ দেওয়া হবে কি না, সেটা বাংলাদেশ সরকারের ওপর নির্ভর করছে।'

তুরান জোর দিয়ে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা সর্বোত্তম উপায়। তারা শুরু থেকে ভোট গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করতে পারে এবং কোনো অনিয়ম আছে কি না, তা পরীক্ষা করতে পারে। এই পদ্ধতি তুরস্কে অনুসরণ করা হয়।

তুরান বলেন, 'বিরোধী দল বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। এর জন্য বিরোধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
10-bed ICU

Life-saving care hampered in 25 govt hospitals

Intensive Care Units at 25 public hospitals across the country have remained non-functional or partially operational over the last few months largely due to a manpower crisis, depriving many critically ill patients of life-saving care.

7h ago