হজ ও ওমরা মেলা শুরু বৃহস্পতিবার

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্মেলন এবং মেলা শুরু হচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলন ও মেলা শুরু হবে। ৩ দিনব্যাপী এ মেলা শেষ হবে শনিবার। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালি সম্মেলন ও মেলার উদ্বোধন করবেন। 

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

এর আগে হজ ও ওমরা নিয়ে বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে কোনো সম্মেলন হয়নি জানিয়ে হাব সভাপতি বলেন, 'প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রায় ৯৬ শতাংশ হজ এবং শতভাগ ওমরাহযাত্রী বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে যান। অতীতে হজ ব্যবস্থাপনায় নানারকম ত্রুটি-বিচ্যুতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ও হাবের প্রচেষ্টায় হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে এবং শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।'

বাংলাদেশে হজযাত্রীদের অধিকাংশই গ্রামের বাসিন্দা উল্লেখ করে শাহাদাত হোসাইন বলেন, 'বেশিরভাগ হজ ও ওমরাহ এজেন্সির প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই এই মেলার মাধ্যমে সব হজ এজেন্সি সম্পর্কে সবাইকে পরিচয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য।'

এছাড়া, প্রযুক্তি নির্ভর হজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, হজযাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা, হজকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্য ও মধ্যস্বত্বভোগী রোধ করা এবং হজ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদান-প্রদানসহ হজ ও ওমরা সম্পর্কে জানাতে এই মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।

যাত্রী, হজ এজেন্সি ও অন্যান্য অংশীজনদের মধ্যে ই-হজ সিস্টেম ও মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আদান-প্রদানে দুটি সেমিনারের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

13h ago