জিয়ার আমলে সামরিক আদালতের সাজা কেন অবৈধ নয়, রুল হাইকোর্টের
১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সামরিক আইনের অধীনে গঠিত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে মানুষকে দোষী সাব্যস্ত করা ও সাজা দেওয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।
আদালত একটি রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, কেন জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সামরিক আদালতের দেওয়া সাজা অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সামরিক আইন আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কেন দেশপ্রেমিক ঘোষণা করা হবে না, তাদের পরিবারকে কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না এবং তাদের সন্তানদের যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরি দেওয়া হবে না তার কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত।
প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, সেনাবাহিনী প্রধান এবং বিমান বাহিনীর প্রধানকে এই রুলের বিবাদী করা হয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তৎকালীন বিমান বাহিনীর ১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতিনিধিসহ ৮৮ জনের দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রুল জারি করেন। যারা মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন দণ্ডে দণ্ডিত।
আবেদনকারীদের আইনজীবী মো. মতিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সামরিক আইনের অধীনে গঠিত ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অনেক বিমান কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
তিনি জানান, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মামলায় জিয়াউর রহমান, খন্দকার মুস্তাক আহমেদ ও আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের ক্ষমতা গ্রহণ এবং সামরিক আইনের অধীনে ট্রাইব্যুনাল গঠনকে অবৈধ ঘোষণা দিয়েছেন হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
'তাই ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সামরিক আইনের অধীনে গঠিত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক যাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং শাস্তি দেওয়া হয়েছিল তা অবৈধ,' বলেন তিনি।
Comments