রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদীতে কোস্টগার্ডের টহল জোরদার

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনামূলক পরিস্থিতির কারণে আর কোনো রোহিঙ্গা নাগরিক যাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য নাফ নদীসহ আশেপাশের এলাকায় তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে কোস্টগার্ড বাংলাদেশ।

নাফ নদী, শাহপরীর দ্বীপ, বাহারছড়া থেকে ইনানী পর্যন্ত কোস্টগার্ডের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শাহপরী অঞ্চলে কোস্টগার্ডের ৪টি বোট সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে এবং গোপনভাবে কাজ করছে আরও কিছু বোট।

কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের পরিচালক (গোয়েন্দা) ক্যাপ্টেন শরীফ দ্য ডেইলি স্টারকে আজ রোববার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ক্যাপ্টেন শরীফ বলেন, 'শাহপরী, বাহারছড়া থেকে ইনানী পর্যন্ত আমাদের পেট্রোল টিম কাজ করছে। ল্যান্ডেও আমাদের ২টি পিকআপ নিয়মিত টহল দিচ্ছে। সেন্টমার্টিনে আমাদের একটি জাহাজ আছে। উন্নত মানের ক্যামেরা আছে আমাদের সঙ্গে। আমরা সবদিকে ভালোভাবে নজরদারিতে রাখছি।'

তিনি বলেন, 'সাধারণত যেসব এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গারা আসতে পারে, সেসব এলাকায় আমাদের নজদারি কঠোর করা হয়েছে। ১ মাস ধরেই আমাদের এই বিশেষ তৎপরতা চলমান রয়েছে। মিয়ানমারের ভেতরে কোনো সংঘর্ষ হলে রোহিঙ্গারা সাধারণত এসব এলাকা দিয়েই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন। এজন্য এসব জায়গায় টহল বাড়ানো হয়েছে। মিয়ানমারে সংঘর্ষ তীব্রতর হলে আমাদের তৎপরতাও বাড়ানো হয় এবং আমরাও শক্ত অবস্থানে থাকি।'

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছিল। এখন কী অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখন এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। জেলেরা মাছ ধরছে। আমরা তাদেরকে আশস্ত করেছি। জেলেসহ স্থানীয়দের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে।'

কোনো দালাল যাতে রোহিঙ্গাদের প্রবেশে করাতে না পারে যে জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা বোটগুলোর ২ পাশে বাংলাদেশের পতাকার চিহ্ন এঁকে দিয়েছি। দালালদের গতিবিধি আমাদের নজরদারিতে আছে। কোনো বোটে রোহিঙ্গা আসলে আমরা সেই বোটগুলোকে আইনের আওতায় আনতে পারবো।'

Comments

The Daily Star  | English

Cyber protection ordinance: Draft fails to shake off ghosts of the past

The newly approved draft Cyber Protection Ordinance retains many of the clauses of its predecessors that drew flak from across the world for stifling freedom of expression.

6h ago