মেয়র লিটনকে রাজশাহী বোর্ড চেয়ারম্যানের প্যাডে ‘আপত্তিকর’ চিঠি, ব্যাখ্যা চাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (বামে) ও রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাবিবুর রহমান (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের নামে যাওয়া একটি 'আপত্তিকর' চিঠির ব্যাখ্যা চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আজ শুক্রবার রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে মন্ত্রণালয়ের নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মেয়র লিটনকে এ ধরনের কোনো চিঠি তিনি পাঠাননি।

গত ২২ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবু নাসের বেগের সই করা একটি নোটিশে ১০ দিনের মধ্যে অধ্যাপক হাবিবুর রহমানকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

মন্ত্রণালয়ের নোটিশে বলা হয়, গত আগস্টে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে চিঠি দেন চেয়ারম্যান। চিঠিতে চেয়ারম্যানের সই ও দাপ্তরিক প্যাড ব্যবহার করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, মেয়রের সঙ্গে তার অফিসে দেখা করতে গেলে বোর্ড চেয়ারম্যানকে অপেক্ষা করানো হয়। চেয়ারম্যানের ভবিষ্যতে সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের নোটিশে বোর্ড চেয়ারম্যানের এ চিঠিকে দায়িত্বশীল পদে থেকে 'শালীনতা বিবর্জিত' বলে উল্লেখ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, চেয়ারম্যানের চিঠি আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মচারী আইনের পরিপন্থী।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন চিঠির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানায়।

মেয়র লিটনকে এমন 'আপত্তিকর' চিঠি পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, 'আমি তাকে (মেয়র) কোনো চিঠি পাঠাইনি। আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এবং দায়ী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার অনুরোধ করেছি।'

চেয়ারম্যান জানান, তিনি ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় ও মেয়রকে চিঠির সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, তার সই জাল করে মেয়রকে 'আপত্তিকর' চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে কোনো স্মারক নম্বর ব্যবহার করা হয়নি। চিঠির ফরমেট রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের কোনো দাপ্তরিক পত্রে ব্যবহার করা হয় না।

মেয়রের কাছে বোর্ডের চেয়ারম্যান সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরির জন্য কে বা কারা ওই চিঠি দিয়েছে বলেও ব্যাখ্যা দেন তিনি।

এ বিষয়ে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, এ বিষয়ে সরকারি সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Not for kidney patient, they tried to rob bank for iPhones

Police say three robbers fabricated a story claiming that the robbery was to save a kidney patient

12m ago