বিদ্যুত গ্রাহকদের ১২ শতাংশ প্রিপেইড মিটারের আওতায়

ফাইল ছবি

 

২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সব বিদ্যুৎ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা আছে সরকারের। এখন পর্যন্ত প্রিপেইড মিটারের আওতায় এসেছে গ্রাহকদের ১২ শতাংশ। ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা এই মিটার স্থাপনের কাজ করছে।

আজ মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে গত জুলাই মাস পর্যন্ত মোট বিদ্যুতের গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৩১ লাখ। এর মধ্যে প্রিপেইড মিটারের আওতায় এসেছেন ৫১ লাখ ৭ হাজার ৪৫২ জন। সে হিসাবে দেশের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ প্রিপেইড মিটারের আওতায় এসেছে।

বিদ্যুৎ খাতে অপচয়, চুরি, ওভারলোড ও বকেয়া বিল ঠেকাতে প্রিপেইড মিটার বসানোর উদ্যোগ নিয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। প্রিপেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০০৯-১০ সালে। ২০১৬ সালের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ১ কোটি ৩২ লাখ মিটার বসানোর কথা ছিল।

আজকের বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় জানায়, ৬টি বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ করছে।

এর মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ২৯১, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ১৩ লাখ ১০ হাজার ৫৬৪, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪৬৯, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ৬ লাখ ১৪ হাজার ২০৫, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (ওজোপাডিকো) ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯২৩ ও নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) ৫ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করেছে। প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ৬টি প্রকল্প চলছে।

বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়েশা খান সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সংক্রান্ত অগ্রগতি সন্তোষজনক।

তিনি বলেন, বৈঠকে ডিজেলচালিত সেচযন্ত্রগুলো ক্রমান্বয়ে সৌরবিদ্যুতভিত্তিক করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, তা দেখতে বলা হয়েছে। একটি সরকারি ভবনে এনার্জি অডিট করা হয়েছে। আরও একটি সরকারি ভবনে এই অডিট করে আগামী বৈঠকে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

What's causing the unrest among factory workers?

Kalpona Akter, labour rights activist and president of Bangladesh Garment and Industrial Workers Federation, talks to Monorom Polok of The Daily Star about the recent ready-made garments (RMG) workers’ unrest.

8h ago