‘থার্ড টার্মিনালের কাজ ৪৪ শতাংশ শেষ, উদ্বোধন ২০২৩ সালের অক্টোবরে’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী জানিয়েছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের ৪৪ দশমিক ১৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। ২০২৩ সালের অক্টোবরে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করা যাবে।
আজ সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ৩টি টার্মিনাল দিয়ে বছরে ২২ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দিতে পারবে। বিদ্যমান অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা দূর হওয়ায় তখন যাত্রীরা বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের সেবা পাবেন।'
মাহবুব আলী বলেন, 'বিমানবন্দরে যাত্রীরা যাতে কোন হয়রানির শিকার না হন, সেটা আমরা খেয়াল রাখছি। মনিটরিং বৃদ্ধি করায় লাগেজ ডেলিভারিতেও আগের থেকে সময় অনেক কম লাগছে। যেখানে প্রয়োজন সেখানেই অতিরিক্ত জনবল দেওয়া হয়েছে। আশা করছি যাত্রীরা সুন্দর ব্যবহার পাবেন। যখন দেখব সব ঠিকঠাক হচ্ছে, তখন বুঝব আমাদের কর্মকাণ্ড সার্থক। পৃথিবীর বিভিন্ন এয়ারপোর্টে যে সেবা দেওয়া হয়, সেই ধরনের আন্তর্জাতিক সেবা যাতে দেওয়া হয় সেটা আমরা নিশ্চিত করব।'
থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করার কথা ভাবছি। তখন সব নিয়ম ও শর্ত পরিপালন করে যারা যোগ্য বিবেচিত হবেন, তারাই এই টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ পাবেন। আমাদের লক্ষ্য যাত্রীদের উন্নত সেবা প্রদান করা, তার জন্য করণীয় সব কাজ করা হবে।'
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'থার্ড টার্মিনালের কাজের মান নিয়ে কোনো ধরনের আপোষ করা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। দরপত্রে উল্লেখিত মানের পণ্যই এই প্রকল্পের কাজে সরবরাহ নেওয়া হবে, অন্য কোনো কিছু গ্রহণ করা হবে না। রাষ্ট্রের বা জনগণের এক পয়সা ক্ষতি হয় এরকম কোন কিছু এখানে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।'
থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুকেশ কুমার সরকার, মহিদুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
Comments