শরিক ও জাতীয় পার্টির জন্য ছেড়ে দেওয়া ৩২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য যারা
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের শরিক দল ও জাতীয় পার্টির জন্য মোট ৩২টি আসন ছেড়ে দেওয়া ঘোষণা দিয়েছে, এর মধ্যে জাতীয় পার্টির ২৬টি।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনে কমিশনে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান।
জাতীয় পার্টির জন্য যে ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাহার করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩, নীলফামারী-৪, রংপুর-১, রংপুর-৩, কুড়িগ্রাম-১, কুড়িগ্রাম-২, গাইবান্ধা-১, গাইবান্ধা-২, বগুড়া-২, বগুড়া-৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৫, ময়মনসিংহ-৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়ি-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫, চট্টগ্রাম-৮ ও নারায়ণগঞ্জ-৫।
এর মধ্যে ৯টি আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদে।
জাতীয় পার্টির জন্য যে ২৬টি আসন আওয়ামী লীগ ছেড়েছে, সেখানে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যরা হচ্ছেন:
ঠাকুরগাঁও-৩
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হন বিএনপির জাহিদুর রহমান। তিনি পদত্যাগ করলে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।
নীলফামারী-৩
জাতীয় পার্টির রানা মোহাম্মদ সোহেল।
নীলফামারী-৪
জাতীয় পার্টির আহসান আদেলুর রহমান।
রংপুর-১
জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গা।
রংপুর-৩
২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তার মৃত্যুর পর ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবরের উপনির্বাচনে নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির সাদ এরশাদ।
কুড়িগ্রাম-১
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আছলাম হোসেন সওদাগর।
কুড়িগ্রাম-২
জাতীয় পার্টি পনির উদ্দিন আহমেদ।
গাইবান্ধা-১
জাতীয় পার্টি শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
গাইবান্ধা-২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাহাবুব আরা বেগম গিনি।
বগুড়া-২
জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ।
বগুড়া-৩
জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম তালুকদার।
সাতক্ষীরা-২
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
পটুয়াখালী-১
২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শাহজাহান মিয়া; তার মৃত্যুতে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর উপনির্বাচনে নির্বাচিত হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আফজাল হোসেন।
বরিশাল-৩
জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু।
পিরোজপুর-৩
জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী।
ময়মনসিংহ-৫
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেএম খালিদ বাবু।
ময়মনসিংহ-৮
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম।
কিশোরগঞ্জ-৩
জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু।
মানিকগঞ্জ-১
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাইমুর রহমান দুর্জয়।
ঢাকা-১৮
২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাহারা খাতুন। তার মৃত্যুতে ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর উপনির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ হাবিব হাসান।
হবিগঞ্জ-১
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২
২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন বিএনপির আবদুস সাত্তার ভূঞা। 'দলীয় চাপে' পদত্যাগ করার পর উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে পুনরায় নির্বাচিত হন তিনি। তার মৃত্যুর পর উপনির্বাচন হলেও তা অনিয়মের অভিযোগে স্থগিত হয়।
ফেনী-৩
জাতীয় পার্টির মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-৫
জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
চট্টগ্রাম-৮
২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মইন উদ্দীন খান বাদল। তার মৃত্যুতে উপনির্বাচনে জয়ী হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মোছলেম উদ্দিন আহমদ। মোছলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে উপনির্বাচনে জয়ী হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নোমান আল মাহমুদ।
নারায়ণগঞ্জ-৫
জাতীয় পার্টির এ কে এম সেলিম ওসমান।
শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়া ৬ আসন
আওয়ামী লীগ তার শরিক দলগুলোর মধ্যে মাত্র তিনটির জন্য মোট ছয়টি আসন ছেড়ে দিয়েছে।
এগুলো হলো বরিশাল-৩, রাজশাহী-২, কুষ্টিয়া-২, বগুড়া-৪, লক্ষ্মীপুর-৪ এবং পিরোজপুর-২।
এর মধ্যে একটি আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদে।
এই আসনগুলোর বর্তমান সংসদ সদস্য হচ্ছেন:
বরিশাল-৩
জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু।
রাজশাহী-২
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা।
কুষ্টিয়া-২
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) হাসানুল হক ইনু।
বগুড়া-৪
২০১৮ সালের নির্বাচন জয়ী হন বিএনপির মোশারফ হোসেন। দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি পদত্যাগ করলে উপনির্বাচনে জয়ী হন জাসদের এ, কে, এম রেজাউল করিম তানসেন।
লক্ষ্মীপুর-৪
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আবদুল মান্নান।
পিরোজপুর-২
জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
Comments