বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হওয়া মৃণাল কান্তি এখন কোটি টাকার গাড়ির মালিক

মৃণাল কান্তি দাস। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার আগে যে হলফনামা দিয়েছিলেন তাতে তিনি বলেছিলেন তার কোনো গাড়ি নেই। এখন প্রায় এক কোটি টাকা দামের গাড়ি আছে তার।

এই সম্পদের হিসাব মৃণাল কান্তি দাসের নিজের দেওয়া। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক তিনি।

আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় এ তথ্য দিয়েছেন মৃণাল কান্তি দাস।

শুধু কোটি টাকার গাড়িই নয়, এমপি হয়ে গত ১০ বছরে তার নিজের ও স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে বহু গুণে।

৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের আগে মৃণাল কান্তি দাসের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী বাৎসরিক আয় ছিল ৯ লাখ ৬ হাজার টাকা। তখন তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বলতে ছিল নগদ ১২ লাখ টাকা, স্থায়ী আমানত ৩ লাখ টাকা, ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণ, আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা, ১৮ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট ও সোয়া লাখ টাকার একটি পিস্তল। তার স্ত্রীর কোনো সম্পদ ছিল না। বরং, বোনের কাছে ঋণ ছিল ৬ লাখ টাকার।

অথচ, ১০ বছর পেরোতেই মৃণাল কান্তি দাস প্রায় কোটি টাকার গাড়ির মালিক হয়েছেন। নগদ ও ব্যাংকে জমা আছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি। ঢাকার পূর্বাচলে প্লটের মালিক হয়েছেন।

অন্যদিকে, এই সময়ের মধ্যে তার স্ত্রী ঢাকার মোহাম্মদপুরে ১০ কাঠার প্লটের মালিক হয়েছেন। এর দাম অবশ্য দেখিয়েছেন ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ওই প্লটে ২০ লাখ ২০ হাজার টাকায় দালান নির্মাণের কাজ চলছে। স্ত্রীর সাড়ে ১৯ ভরি স্বর্ণের পাশাপাশি উল্লেখ করেছেন ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার আসবাবপত্রের। স্থায়ী আমানত রয়েছে ৯০ লাখ টাকার বেশি।

আইনজীবী হলেও এই পেশা থেকে কোনো আয় নেই মৃণাল কান্তি দাসের। সংসদ সদস্য ভাতা বাবদ ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। যদিও মুন্সিগঞ্জ-১ ও মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্যরা এ খাতে তাদের আয় যথাক্রমে ২৮ লাখ ও ২২ লাখ টাকা উল্লেখ করেছেন।

২০১৮ সালে মৃণাল কান্তি দাসের ১৬ লাখ টাকা ঋণ থাকলেও ২০২৩ সালে তার কোনো ঋণ নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Large-scale Chinese investment can be game changer for Bangladesh: Yunus

The daylong conference is jointly organised by Bangladesh Economic Zones Authority and Bangladesh Investment Development Authority

1h ago