কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন: নৌকার প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান নির্বাচিত

কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন: নৌকার প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান নির্বাচিত

কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন।
 
আজ সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৮ হাজার ৫২ ভোট পেয়ে তিনি বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। 

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিদ্রোহী প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ পেয়েছেন ২৪ হাজার ১৬৮ ভোট। পরাজিত প্রার্থী রাশেদের ভোটের ব্যবধান ৩ হাজার ৩৫৩ ভোট।

ভোট গণনা শেষে রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে নির্বাচন সমন্বয় কেন্দ্রে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোসেন বেসরকারি ওই ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অন্য ৩ জনের মধ্যে জগদীশ বড়ুয়া (হেলমেট) ৪ হাজার ১৬৮ ভোট, ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের মো. জাহেদুর রহমান (হাতপাখা) ১ হাজার ৪৪২ ভোট ও মাসেদুল হক রাশেদের স্ত্রী জোসনা হক (মোবাইল ফোন) ৬৯৮ ভোট পেয়েছেন।

কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৯৪ হাজার ৮১১ জন। এরমধ্যে প্রায় ৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। ৫৯ হাজার ২৯৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে নানা ক্রটির কারণে ২২৭টি ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে ।

ঘোষিত ফলাফলকে জনগণের বিজয় বলে মন্তব্য করেছেন মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, 'সাধারণ ভোটাররা আন্তরিকভাবে নৌকা প্রতীক ও আমাকে ভালোবেসে নির্বাচিত করেছেন। আমি ভোটারসহ সবার কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। এ বিজয় নিয়ে সমর্থকদের কোনো প্রকার মিছিল সমাবেশ থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি। 

তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রাশেদ আমার বন্ধু, তার প্রয়াত পিতার প্রতি আমার সম্মান চিরদিন থাকবে।'

নারকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English
US election outcome’s likely impact on the Russia-Ukraine war

US election outcome’s likely impact on the Russia-Ukraine war

The endgame of the Ukraine war remains uncertain with US policy likely to be influenced by the outcome of the US election.

3h ago