সিলেট সিটি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা আরিফুল হকের

সিলেট সিটি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা আরিফুল হকের
সিলেটের বন্দরবাজারে রেজিস্ট্রার মাঠে আয়োজিত জনসমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী। ছবি: শেখ নাসের/স্টার

দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সিলেট সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
 
আজ শনিবার বিকেল ৪টায় সিলেটের বন্দরবাজারে রেজিস্ট্রার মাঠে আয়োজিত জনসমাবেশে এ ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য সিলেট সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে গত এপ্রিলে যুক্তরাজ্য সফরে যান আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

এরপর ১৪ এপ্রিল দেশে ফিরে তিনি জানান, বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। তবে, তিনি জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন।

এরপর থেকে আরিফুল হক সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় জনসভা করেন। সর্বশেষ আজ আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য রেজিস্ট্রার মাঠে জনসমাবেশ করেন।

মেয়র আরিফুল হক বলেন, 'নির্বাচনী পরিবেশ নেই।'

'উন্নত দেশ ইভিএমকে না করেছে, সেখানে ইভিএম নিয়ে এসেছে, এটা ভোট ডাকাতির ইঙ্গিত। নির্বাচন কমিশন চাইলে ৬ মাস আগেই প্রশিক্ষণ দিতে পারত, কিন্তু তারা চায় ডিজিটাল কায়দায় ভোট ডাকাতি।'

তিনি বলেন, 'আমি নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ দিতে চাই, ৯৯ ভাগ মানুষ বলবে ইভিএম চায় না। ভোট নিয়ে আস্থা তলানিতে পৌঁছেছে। আওয়ামী লীগ নেতারাও নিজেরাও লজ্জা পায় পরিস্থিতি দেখে।'

'গত নির্বাচনে আমি দেখেছি নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন নগরবাসীর কারণে আমি দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়েছিলাম। আজকে কিন্তু এই ডিজিটাল কারবারের মধ্যে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে যে নগরবাসী আমাকে ভোট দিলে ভোট যাবে অন্য জায়গায়।'

নির্বাচনে অংশ না নিলেও জনকল্যাণে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, 'কথা দিচ্ছি মেয়র না থাকলেও সিলেটের কল্যাণমূলক কাজে থাকব, আপনাদের সুখে দুখে থাকব।'

'নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট ডাকাতির নীল নকশা হয়েছে, পুলিশে রদবদল হয়েছে। আমি নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার আগেও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। এটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষণ? শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তি নয়, সাধারণ মানুষ যারা আমার সঙ্গে ছবি তুলেছেন, তাদেরকেও হয়রানি করা হয়েছে।'

দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে চলার ব্যাপারে তিনি বলেন, 'বিএনপির সঙ্গে আমৃত্যু থাকব। যে সংগঠনের শুরু থেকে আছি, সেই সংগঠনের কোনো ক্ষতি হতে দেব না। এই নির্বাচন হবে প্রহসনের নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।'

'আমি নেত্রী খালেদা জিয়া ও নেতা তারেক রহমান, আমার মা ও আমার মুর্শিদ পীর সাহেবের কথায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না। আপনারা আমাকে ক্ষমা করে দিন, মেয়র না থাকলেও এই নগরীর সব আন্দোলনে থাকব।'

Comments

The Daily Star  | English

Rally begins near Jamuna demanding ban on Awami League

The demonstration follows a sit-in that began around 10:00pm last night in front of the Chief Adviser's residence

54m ago