চাচার ভোট দিতে এসেছিলেন ভাতিজা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি ও বরিশালে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও খাগড়াছড়ি থেকে মোট চারজনকে আটক করা হয়েছে এবং বরিশালে দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় এক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ফুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি ও বরিশালে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও খাগড়াছড়ি থেকে মোট চারজনকে আটক করা হয়েছে এবং বরিশালে দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় এক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।

দ্য ডেইলি স্টারের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা জানান, জেলার বিজয়নগরে চাচার ভোট জাল করে দিতে আসা এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ সকাল ৯টার দিকে বিজয়নগরের পত্তন ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, 'জাল ভোট দিতে আসা সাব্বির আহমেদ (২৫) পত্তন ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের আরব আলীর ছেলে। জাল ভোট দিতে আসায় তাকে আটক করা হয়েছে।'

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে জাল ভোট দিতে আসা চার যুবককে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আমাদের খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার পানছড়ি উপজেলার বড় পানছড়ি (দক্ষিণ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

পানছড়ি উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হাছান জানান, জাল ভোট দেওয়ায় মো. জাহিদ হাসান (১৯), মো. শওকত মিয়া (২১), মো. হালিম (২১) ও মো. ফুল মিয়াকে (২১) কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই পানছড়ির ফাতেমা গ্রামের বাসিন্দা।

তিনি বলেন, 'জাল ভোটের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর নির্বাচনী আচরণবিধি দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১(চ) ধারা অনুযায়ী তাদের প্রত্যেককে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়ে পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।'

দ্য ডেইলি স্টারের বরিশাল সংবাদদাতা জানান, বরিশাল-৫ আসনে সদর উপজেলার বাটনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে 'নৌকার প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট' দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে নৌকা সমর্থক ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপনের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে এক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পলাশ শিকদার।

দ্য ডেইলি স্টারকে পলাশ শিকদার বলেন, 'এখানে ৩ হাজার ৭৩২ জন ভোটারের মধ্যে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ৭৭১ জন ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পর পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।'

Comments