পুরোনো কায়দায় আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতিতে নেমেছে: জি এম কাদের

বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন ২০২৪
জি এম কাদের। ছবি: সংগৃহীত

'সেই পুরোনো কায়দায় আওয়ামী লীগ ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির নির্বাচন করছে,' বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।

রোববার সকালে রংপুর ৩ আসনের সেনপাড়া শিশু মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জি এম কাদের বলেন, 'জামালপুর-কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। যে পুরোনো কায়দায় আওয়ামী লীগ ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে। এবারও সেটাই করা হচ্ছে। যদিও বারবার আশস্ত করা হয়েছিল যে এমন কোনো ঘটনা ঘটবে না।'

'কিন্তু অলরেডি সকাল থেকে আমি তিনটা ঘটনা জেনেছি যে ভোট ডাকাতির নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ করেন তিনি।

ভোট স্বাভাবিক হচ্ছে না উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, 'ভোট স্বাভাবিক হবে না, সেই ধরনের একটা আবহাওয়া তৈরি করা হচ্ছে। সব জায়গার খবর এখনো পাইনি। যে আশা করছিলাম ভোটটা স্বাভাবিক হবে। কিন্তু রংপুর ছাড়া বেশিরভাগ জায়গায় ভোট স্বাভাবিক হচ্ছে না।'

জিএম কাদের বলেন, 'সবসময় আমাদের আশঙ্কা ছিল যে, নির্বাচনে নিয়ে এসে আমাদের কোরবানি করা হবে। কোরবানি করে নির্ভেজাল, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হবে। এসব আশঙ্কা সত্যি হয় কিনা বিকেল হলেই বোঝা যাবে।'

২০১৮ সালের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কিনা, এর জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কিছু কিছু নমুনা দেখা যাচ্ছে। কারণ তাদের লোকবল বেশি। প্রশাসন তাদের সঙ্গে পরোক্ষভাবে আছে। অনেক জায়গায় কোথাও বাধা দিচ্ছে না, চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। এরকম তারা করে যাচ্ছে। যতদূর খবর পেয়েছি এতে আমরা উদ্বিগ্ন।

দিনশেষে জাতীয় পার্টির শঙ্কা যদি সত্যি হয়, তাহলে দলের অবস্থান কি হবে-এ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, সেটা যখন হবে তখন বলব। আগে থেকে কিছু বলতে চাই না। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি দেখে দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।

এসময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগরের সভাপতি সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago