নরসিংদী-৫: জ্যান্ত চিল নিয়ে ঈগল সমর্থকদের মিছিল
নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জ্যান্ত ভুবন চিল নিয়ে মিছিল করেছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রায়পুরা উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের ইসলামপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মিজানুর রহমান চৌধুরীর নির্বাচনী জনসভায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চরাঞ্চলের বাঁশগাড়ি থেকে একটি মিছিল মিজানুর রহমান চৌধুরীর সমর্থনে জনসভায় যোগ দেয়। এসময় মিছিলকারীদের একজনকে জ্যান্ত একটি ভুবন চিল হাতে উঁচিয়ে ধরে উল্লাস করতে দেখা যায়। তাকে ঘিরে স্লোগান দিতে দিতে নাচতে থাকেন মিছিলকারীরা।
তবে বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াদ আহমেদ সরকার পাখিটির দিকে ইঙ্গিত করে 'সমস্যা, সমস্যা' বলে কর্মী-সমর্থকদের সেটি সরিয়ে নিতে বলেন।
এরপরও দীর্ঘ সময় পাখিটি নিয়ে মিছিল করেন কর্মী-সমর্থকরা। একপর্যায়ে পাখিটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে তাকে ছেড়ে দিলেও সেটি আর উড়ে যেতে পারেনি। কয়েকবার ডানা ঝাপটে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা পাখিটিকে স্কুলের ছাদে ছুড়ে মারেন বলেও জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরীর কর্মী সুমন মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মানুষকে দেখাতে এবং উল্লাস করার জন্য পাখিটি ধরেছিলাম। তবে ছেড়ে দেবো। পাখি নিয়ে মিছিল করলে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয় কি না, আমাদের জানা নেই।'
নরসিংদী জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নির্বাচনী প্রচারণায় যেকোনো জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যেকোনো প্রার্থীর প্রতীকের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে প্রচারণার কাজে কোনো পাখিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রোজলিন শহীদ চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি বিষয়টি মাত্রই শুনেছি, তবে কেউ অভিযোগ করেননি। এটা অবশ্যই নির্বাচনী আচরণবিধির স্পষ্টত লঙ্ঘন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।'
এ বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া না দেওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Comments