মাদারীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা

নিহত ইস্কান্দার খান। ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। কিন্তু পুলিশ বলছে জমিজমার বিরোধে এই ঘটনা ঘটেছে।

নিহত ইস্কান্দার খান (৫৬) মাদারীপুর-৩ (কালকিনি, ডাসার ও সদরের একাংশ) স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা আক্তারের সমর্থক ছিলেন। আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। বরিশাল নেওয়ার পথে দুপুর ১১টার দিকে তিনি মারা যান।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বিকেল ৪টা ১৪ মিনিটে মুঠোফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান, নিহত ইস্কান্দার খাঁ কালকিনি উপজেলার রায়পুর ভাটবালি এলাকার আমির আলী খানের ছেলে। শনিবার সকালে স্থানীয় কাচিকাটা বাজারে গেলে সেখানে তিনি হামলার শিকার হন। হামলাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। পথেই তিনি মারা যান। হামলাকারীদের এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করা যায়নি।

নির্বাচন সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তিনি ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা আক্তারের সমর্থক ছিলেন। নির্বাচন সংক্রান্ত কারণে এই ঘটনা ঘটছে কিনা বলতে পারব না। হামলাকারীরা নৌকার সমর্থক কিনা জানি না। তবে হামলাকারীদের সঙ্গে নিহত ব্যক্তির দীর্ঘদিন পারিবারিক ও ওই জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। হয়তো এই কারণেই ঘটনাটি ঘটতে পারে।

নিহতের স্বজন বিল্লাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন করার কারণে তার চাচাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নৌকার বিরোধিতা করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নিহত ইস্কান্দার খান কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সদস্য। মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh-US tariff talks underway in Washington

Based on progress made so far, Bangladesh hopes for a positive outcome

9h ago