খেলাপি ঋণের মামলা করায় ব্যাংকে ঢুকে ব্যবস্থাপককে পেটালেন যুবদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

ঋণ খেলাপির মামলা দায়ের করায় পাবনার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানায় একটি ব্যাংকে ভাঙচুর চালিয়েছেন এক যুবদল নেতা।

এ সময় তিনি ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে মারধর করেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ফৈলজানা শাখায় এই ঘটনা ঘটে।

ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং মামলা দায়েরের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ফৈলজানা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. লোকমান হোসেন বিকেলে ব্যাংকে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং ব্যবস্থাপক মো. শামসুজ্জামানকে মারধর করেন।

ব্যাংকের কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা শামসুজ্জামানকে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. বশির উদ্দিন জানান, যুবদল নেতা লোকমান হোসেন ২০১৮ সালে ব্যাংক থেকে তিন লাখ টাকা সিসি (ক্যাশ ক্রেডিট) লোন নিয়েছিলেন।

শর্ত অনুযায়ী, গ্রাহককে ঋণটি নবায়ন করতে হয়। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি গত দুই বছরে তার ঋণ নবায়ন করেননি, যার কারণে তিনি একজন ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয়েছেন।

ব্যাংকিং নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গত ২৫ মে মাসে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে, আর এই কারণে তিনি ক্ষুব্ধ হন, বলেন বশির।

লোকমান তার সহযোগীদের নিয়ে হঠাৎ করে ব্যাংকে ঢুকে টেবিল ও গ্লাস ভাঙচুর করেন এবং ব্যবস্থাপককে মারধর করে আহত অবস্থায় ফেলে যান। এ ঘটনায় ব্যাংকে উপস্থিত গ্রাহকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

রাকাবের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. হেলাল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষয়টি তদন্ত এবং ব্যাংকের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'রাকাব এই ঘটনায় মামলা দায়েরের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ হামলাকারীরা সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেছে এবং জনাকীর্ণ ব্যাংকে ম্যানেজারকে মারধর করেছে।'

ঘটনার পরই যুবদল নেতা লোকমান গা ঢাকা দিয়েছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও প্রতিবারই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম জানান, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

'পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে, তবে ঘটনার পর তারা গা ঢাকা দিয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

Comments