ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭ টাকার ইনজেকশন ৩৫০ টাকায় বিক্রি, ৪০ হাজার টাকা জরিমানা

গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি হাসপাতালের বিছানায় সংকটাপন্ন একজন প্রসূতি। চিকিৎসক জানিয়েছে, জরুরিভিত্তিতে একটি ইনজেকশন দরকার। স্বজন ছুটে গেছেন ওষুধ খুঁজতে।
ততক্ষণে অধিকাংশ ফার্মেসি বন্ধ হয়ে গেছে। শহরের কুমারশীল মোড়ে জান্নাত ফার্মেসি খোলা ছিল। ওষুধ 'সংকট' জানিয়ে বিক্রেতা মাত্র সাড়ে সাত টাকা মূল্যের ইনজেকশনটির দাম চান ৩৫০ টাকা। ক্রেতা রশিদ চাইলে বিক্রেতা অস্বীকৃতি জানান।
ঘটনাটি ঘটে গত ৩০ জুন রাত ১২টার দিকে। কামরুল হাসান নামে এক ব্যক্তি তার আত্মীয়ার জন্য 'মেথারস্প্যান ২০০ এমএল' ইনজেকশন কিনতে গিয়েছিলেন।
কামরুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইনজেকশনের গায়ে স্পষ্ট লেখা ছিল মূল্য সাত টাকা ৫০ পয়সা। অথচ তারা ৩৫০ টাকায় বিক্রি করবে। আমি রশিদ চাইলে তারা তা দিতে অস্বীকার করে।'
বিক্রেতার ওপর ক্ষুব্ধ তিনি ফেসবুক লাইভে প্রতিবাদ জানান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১০ ঘণ্টায় ভিডিওটি দুই লাখ ৩০ হাজার বার দেখা হয়। এরপর বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আসে।
সেই সূত্র ধরে বুধবার বিকেলে জান্নাত ফার্মেসিতে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এতে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী।
তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযানে গিয়ে আমরা অভিযোগের সত্যতা পাই। কামরুল ছাড়া আরও অনেক ক্রেতা ওই ফার্মেসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ জানিয়েছেন।'
'প্রমাণ পাওয়ায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের সতর্ক করা হয়েছে,' বলেন রিজভী।
কনজ্যুমার্স অ্যাসোসসিয়েশন অব বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহীন ও আনসার ব্যাটলিয়নের সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।
Comments