খুঁটি থেকে চুরি যাওয়া বৈদ্যুতিক তার মিললো যুবদল নেতার বাড়িতে

ছবি: স্টার

নরসিংদী সদর উপজেলার বদরপুর এলাকা থেকে চুরি যাওয়া বৈদ্যুতিক তার উদ্ধার করেছে পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়ন শাখা যুবদলের সদস্য সচিব ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইমান হোসেনের বাড়িতে তারগুলো পাওয়া যায়।

নরসিংদী সদর পল্লী বিদ্যুৎ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মতিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানিয়েছে, গত রাতে হাজীপুর ইউনিয়নের বদরপুর এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে তারগুলো চুরি হয়। কয়েক বছর আগে সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হলেও সংযোগ ছিল না।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এদিন বদরপুরে ইমান হোসেনের বাড়ি থেকে ৩১৫ ফুট তার উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা, জানায় সূত্র।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জাহেদুল কবির ভূঁইয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চুরিতে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানচালকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা ইমান হোসেনের বাড়ি থেকে তারগুলো উদ্ধার করেছে।'

তিনি বলেন, 'স্থানীয় বাসিন্দা রাকিব (২২), পাপন (৩২) ও মোবারক (৩৪) ছাড়াও কয়েকজন ইমান হোসেনকে চুরিতে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি জিনিসপত্র চুরি করার সুযোগ নেই, সেটা ক্ষুদ্র কিংবা বৃহৎ হোক।'

মো. মতিউর রহমান বলেন, 'বদরপুর এলাকায় আমরা কয়েক বছর আগে ৩৩ হাজার ভোল্টের সিঙ্গেল ফেইজের তার ও খুঁটি স্থাপন করেছিলাম। আমাদের আরও সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি এবং সংযোগ দেওয়া হয়নি। সেখান থেকে চুরি যাওয়া ৩১৫ ফুট তার স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় ইমান হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।'

'আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সরকারি মালামাল অনুমতি ছাড়া রাখা আইনগতভাবে দণ্ডনীয় ও বেআইনি,' বলেন তিনি।

হাজীপুর ইউনিয়ন পুলিশ বিটের ইনচার্জ পিন্টু কুমার বলেন, 'এ ঘটনার কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাছাড়া, বিদ্যুৎ অফিস থেকেও লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি।'

এ ব্যাপারে কথা বলতে ইমান হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

7h ago