মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারুলের আপিল শুনানি পিছিয়েছে

ATM Azharul Islam
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানির তারিখ পিছিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আগামী ৬ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হবে।

আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চে এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলটি শুনানির জন্য কার্যতালিকার ২৮ নম্বরে ছিল। শুনানি চলাকালে আদালত জানান, আগামী ৬ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য আসবে।

এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এটিএম আজহারুল ইসলামকে তার মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে নতুন করে আপিলের সুযোগ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। সেদিন আপিল শুনানির জন্য ২২ এপ্রিল (আজ) দিন ধার্য করা হয়েছিল।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানি করে এই আদেশ দেন।

গতকাল সোমবার আজহারুলের আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির আপিল বিভাগে আজ তাদের আপিলের শুনানির জন্য আর্জি জানান।

আপিল বিভাগ ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আজহারুলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় দিয়েছিলেন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে এই রায় দেন। এর প্রায় পাঁচ বছর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মুক্তিযুদ্ধকালে রংপুরে সংঘটিত অপরাধের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এর আগে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আলী আহসান মোহাম্মদ মোজাহিদ, মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

6h ago