কলেজশিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ৮ দিন পর মামলা নিল পুলিশ

নারায়ণগঞ্জে এক কলেজশিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ৮ দিন পরে মামলা নিয়েছে পুলিশ।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ফতুল্লায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে, মামলা রেকর্ড করা হয় গত মঙ্গলবার রাতে।
ওই কলেজশিক্ষার্থীর অভিযোগ, ঘটনার পরপর থানায় গেলেও সেখানে তাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার দ্য ডেইলি স্টারকে মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই শিক্ষার্থীর স্বামী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনার রাতে বাড়ির মালিকের ছেলে ও তার বন্ধুরা আমাকে আটকে নির্যাতন করে এবং নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তারা।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাকে তারা ছাড়ার পর এক বন্ধুর ফোন থেকে ৯৯৯ এ কল করি এবং বাসায় যাই। পরে টহল পুলিশ এলে স্ত্রীকে নিয়ে থানায় যাই। ওই রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দেই এবং মেডিকেল পরীক্ষা করতে বলি। কিন্তু পুলিশ আমাদের কথা শোনেনি এবং আইনগত কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি।'
তার দাবি, পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে মিমাংসা করতে বলা হয়।
পুলিশের গাফিলতি ও হয়রানির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, 'ঘটনার রাতে ও পরদিন সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত থানায় ছিলাম। পরে গত মঙ্গলবার দুপুরে আমাদের থানায় ডাকা হয়।'
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরীফুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি কেটে দেন। মেসেজ পাঠালেও জবাব দেননি।
জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাকে গতরাতে একটি ধর্ষণ মামলার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ মামলা নিতে বা মেডিকেল পরীক্ষা করাতে দেরি করেছে, এ বিষয়টি আমি জানি না।'
'যদি এমন হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে,' যোগ করেন তিনি।
Comments