প্রবীণ রিকশাচালককে গলাধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

মজনু মিয়া | ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

লালমনিরহাট শহরে ৬৫ বছর বয়সী এক রিকশাচালককে গলাধাক্কা দিয়ে রাস্তার ওপর ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। শহরের ডালপট্টি মোড়ে শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করেছেন।

ওই রিকশাচালকের নাম মজনু মিয়া। তার বাড়ি লালমনিরহাট পৌর এলাকার জুম্মাপাড়ায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, একটি মোটরসাইকেলে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আসাদুজ্জামান ও মাহমুদার রহমান দ্রুত গতিতে থানার দিকে যাচ্ছিলেন। সম্ভবত তাদের সঙ্গে একজন আসামি ছিলেন। আসাদুজ্জামান হঠাৎ মোটরসাইকেল থামিয়ে রিকশাচালক মজনুকে গলাধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে এলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা পালিয়ে যান।

আব্দুল আজিজ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার চোখের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। মানুষের সঙ্গে পুলিশের আচরণ এখনো শোভন হয়নি।'

'মজনু মিয়া একজন বয়স্ক মানুষ। তিনি সঠিক পাশে অবস্থান করছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন,' বলেন তিনি।

জানতে চাইলে মজনু মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি হাত-পা, পিঠ ও মাথায় আঘাত পেয়েছি। আমার কোনো দোষই ছিল না। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।'

মজনু মিয়াও পুলিশ কর্মকর্তার বিচার দাবি করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসাদুজ্জামান। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রিকশাচালক অবৈধভাবে সড়কের ওপর অবস্থান করছিলেন। এ কারণে তাকে কয়েকটি কথা শুনিয়েছি।'

'আমি তাকে গলাধাক্কা দেইনি। তিনি পেছনে সরতে গিয়ে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলে শতাধিক লোক উপস্থিত হয়ে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। তখন আমি দ্রুত চলে আসি,' দাবি আসাদুজ্জামানের।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) একেএম ফজলুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

Comments

The Daily Star  | English