চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসিকে পুলিশে দিলো বিএনপি নেতাকর্মীরা

সাবেক ওসিকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে থানার বাইরে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। ছবি: রাজিব রায়হান/স্টার

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিনকে রাস্তা থেকে ধরে পুলিশে দিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

আজ সোমবার দুপুরে নগরীর পাঁচলাইশ থানার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

পরে পুলিশে খবর দিলে তারা এসে নেজাম উদ্দিনকে থানা হেফাজতে নেয়।

তাকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে থানার বাইরে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

তাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ আমলে বিভিন্ন থানায় ওসি থাকার সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করে হয়রানি করেছেন নেজাম। তিনি সিএমপির কোতোয়ালি, বাকলিয়া ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পটিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে পাঁচলাইশ থানার পাসপোর্ট অফিসের সামনে ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন নেজাম। পাসপোর্ট অফিসের সামনে প্রাইভেট কার থেকে নামলে তাকে দেখে কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী চিনে ফেলেন এবং এগিয়ে গিয়ে তাকে আটক করেন।

আটককারীদের একজন চকবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শহীদুল ইসলাম শহীদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নেজাম উদ্দিন পাসপোর্ট অফিসের সামনে গাড়ি থেকে নেমেছিলেন। তাকে দেখতে পেয়ে আমরা কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরি। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করতে চাই। খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।'

নেজাম উদ্দিনকে হেনস্থা বা শারীরিক লাঞ্ছনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'তার কলার ধরেছিলাম শুধু। অন্য কিছু করা হয়নি। আমরা তার গায়ে একটি টোকাও দেইনি।'

শহীদ অভিযোগ করেন, 'তিনি কোতোয়ালি থানা ও বাকলিয়া থানায় ওসি থাকার সময় ঘর থেকে তুলে নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা নাশকতার মামলা দিয়েছেন। আমরা কেউ বাসায় থাকতে পারতাম না। আমরা তার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।'

পাঁচলাইশ থানার ওসি মো. সোলাইমান ও পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার আরিফ হোসেনের যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh trade deficit July-August FY25

Trade deficit narrows 2.6% in July-April

The country’s trade deficit narrowed by 2.60 percent in the first ten months of the current fiscal year compared to the same period a year ago, thanks to a rise in export earnings coupled with subdued imports..During the July-April period of fiscal year (FY) 2024-25, the trade gap was $18.

7h ago