ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধে শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করার পরামর্শ হাইকোর্টের

high court
স্টার ফাইল ফটো

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধে শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এই ধরনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

চলতি বছরের ১২ মার্চ বিচারপতি এম আর হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া একটি রায়ে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 
আজ বুধবার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

কুষ্টিয়ার বাসিন্দা সেলিম খানের বিরুদ্ধে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত, দাঙ্গা সংগঠিত করা, ইসলামি ধর্মীয় বিশ্বাস অবমাননা এবং ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে গত বছরের ৪ নভেম্বর ভেড়ামারা থানায় মামলা করেছিলেন একই জেলার বাসিন্দা হানিফ শাহ।

সেলিমের বিরুদ্ধে পবিত্র কোরআন ও হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

এই আইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের সর্বোচ্চ শাস্তি বর্তমানে দুই বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড এবং এটি জামিনযোগ্য অপরাধ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক শেখ লুৎফর রহমান গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন।

সেলিম খানের জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গ্যারান্টি হিসেবে ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার শর্তে জামিনের আদেশ দিয়েছিলেন এবং সেলিম ও অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

আজ পূর্ণাঙ্গ পাঠের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, বিবেকবর্জিত, ধৃষ্টতামূলক ও উসকানিমূলক বক্তব্য ও আচরণের জন্য মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তির বিধান থাকা বাঞ্ছনীয়, যা সংসদ বিবেচনা করে দেখতে পারে।

আদালত আরও বলেন, ধর্মকে কেন্দ্র করে যে কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য বা কাজ নিরুৎসাহিত করার জন্য এমন অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তির মাত্রা বৃদ্ধি করার এবং এগুলোকে অজামিনযোগ্য গণ্য করা আবশ্যক।

Comments

The Daily Star  | English
rise of foreign investment in Bangladesh

Bangladesh draws growing attention of foreign investors

Says Uber official in an interview with The Daily Star

12h ago