রিমান্ড শেষে জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আমির হোসেন আমু
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার মিছিলে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার এ মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড শেষে আমির হোসেন আমুকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিপ। আদালতে পুলিশি দায়িত্ব পালনরত এক উপ-পরিদর্শক দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য জানান।
পাশাপাশি, তদন্তকারী কর্মকর্তা এই মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই আওয়ামী লীগ নেতাকে কারাগারে রাখার আবেদন জানিয়েছেন।
বয়সজনিত কারণ দেখিয়ে আমুকে (৮৫) জামিন দেওয়ার আবেদন করেন তার পক্ষের আইনজীবী। তিনি যুক্তি দেন, বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতার কারণে আমু সহজে চলাফেরা করতে পারেন না।
তার সামাজিক মর্যাদা, বার্ধক্যজনিত জটিলতা ও অন্যান্য কারণ দেখিয়ে জামিন দেওয়ার আবেদন করেন আইনজীবী।
উভয় পক্ষের যুক্তি শোনার পর ম্যাজিস্ট্রেট বিবাদী পক্ষের আবেদন নাকচ করেন এবং আমুকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৬ নভেম্বর ডিবি পুলিশ পশ্চিম ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে আমুকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আওয়ামী লিগের টিকিটে ঝালকাঠি ২ আসনে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
৫ আগস্ট হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্য অনেক আওয়ামী লীগ নেতার মতো তিনিও আত্মগোপনে ছিলেন।
গ্রেপ্তারের পরের দিন সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ঝালকাঠিতে আমুর বাড়ি থেকে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের দেশি ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এর আগে ক্রুদ্ধ জনতা তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুন নেভাতে গেলে এই টাকা চিহ্নিত হয়। তারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে এই দুই বাহিনী বেশ কয়েকটি ব্যাগ উদ্ধার করে। এই ব্যাগেই লুকনো ছিল দেশি-বিদেশি মুদ্রা।
১৭ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেনের সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেয়।
একইসঙ্গে তাদের সকল অ্যাকাউন্টের লেনদেনও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
Comments