হাতকড়া হাতে থানার টাওয়ারে আসামি

হাতকড়াসহ থানার ওয়ারলেস টাওয়ারে আসামি। টাওয়ারের নিচে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা তাকে নামানোর চেষ্টা করছেন। 

পুলিশ সদস্যদের চেষ্টায় কাজ না হওয়ায় ডাকা হয় ফায়ার সার্ভিসকে। ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টাও নামেননি সেই যুবক। 

অবশেষে ডাকা হলো যুবকের পরিবারের সদস্যদের। পরে মায়ের অনুরোধে টাওয়ার থেকে নেমে আসেন আসামি।

আজ সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে সাভার মডেল থানায়।

থানা সূত্রে জানা যায়, সাভার রেডিও কলোনি এলাকার একটি বাসায় চুরি করার সময় বাড়ির সদস্যদের হাতে আটক হন মমিন নামের ওই যুবক। পরে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক বাদলের নেতৃত্বে দুপুর দেড়টার দিকে একদল পুলিশ সেখানে গিয়ে থানায় নিয়ে আসে মমিনকে। 

কিন্তু থানায় আসার পর পুলিশের কাছ থেকে ছুটে থানা প্রাঙ্গণে অবস্থিত ওয়ারলেস টাওয়ারে উঠে যায় মমিন। ছেড়ে দেওয়া না হলে টাওয়ার থেকে লাফিয়ে প্রাণনাশের হুমকিও দেন তিনি। 

পরে ফায়ার সার্ভিসকে ডাকা হয় মমিনকে উদ্ধারের জন্য। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরও ডাকা হয়। 

অবশেষে মমিনের মা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছেলেকে বুঝালে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নেমে আসে মমিন।

জানতে চাইলে সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নুরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবক থানার ওয়ারলেস টাওয়ারে উঠেছে এমন খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। ওই যুবক অনেক উপরে উঠেছিল। টাওয়ারটি পুরাতন হওয়ায় যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না।'

'পরে তার মাকে ডেকে আনা হলে মায়ের অনুরোধে যুবকটি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিচে নেমে আসেন,' যোগ করেন তিনি।

ওই যুবক হাতকড়াসহ টাওয়ারে উঠেছিল কি না, জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, 'হাতকড়া পরা অবস্থায় তিনি টাওয়ারে উঠেছিলেন। তাকে জেলে পাঠানো হবে এমন ভয় থেকে পুলিশকে ফাঁকি দিতেই তিনি টাওয়ারে উঠেছিলেন।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। আটক করে থানায় আনার পর তিনি ওয়্যারলেস টাওয়ারে উঠে যান।'

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles, vandalise property

2h ago