শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়ে ৯ ডিসেম্বর

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা
শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

ঢাকার একটি আদালত আজ পুলিশকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে মুদি দোকানের মালিক আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

আজ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক ও এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মোকতারউজ্জামান তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আখতারুজ্জামান নতুন তারিখের ঘোষণা দেন। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার প্রধান মো. হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

নিহত আবু সাঈদের শুভাকাঙ্ক্ষী আমীর হামজা বাদী হয়ে ১৩ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটিই ছিল প্রথম মামলা।

শুনানির পর ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারীর বক্তব্য নথিবদ্ধ করেন এবং মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে এই হত্যা মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন। 

পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। আইনজীবী মো. মামুন মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এজাহারে হামজা উল্লেখ করেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে আবু সাঈদ নিহত হন।

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেন।

আমীর হামজা জানিয়েছেন, সাঈদ তার ঘনিষ্ঠজন ছিলেন না। বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে তিনি নিজ ইচ্ছায় মামলাটি দায়ের করেছেন। তাছাড়া সাঈদের পরিবারের সদস্যরা থাকেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায়, তাদের মামলা দায়ের করার মতো ক্ষমতা নেই।শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মোট ২৩৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যার অভিযোগে ২০২টি মামলা, মানবতা বিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে ১৬টি, অপহরণের অভিযোগে তিনটি, হত্যাপ্রচেষ্টার ১১ অভিযোগ ও বিএনপির মিছিলে হামলার একটি অভিযোগে রয়েছে। 

এই মামলা সূত্রে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন , সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

With Trump’s win, Bangladesh gets more investment queries from China

Chinese entrepreneurs are increasingly inquiring with Bangladeshi businesses over scope for factory relocations, joint ventures and fresh investments, apprehending that the new Trump administration might further hike tariffs on their exports to the US.

9h ago