আওয়ামী লীগসহ ১১ দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে রিট

তত্ত্বাবধায়ক সরকার
স্টার ফাইল ফটো

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা এবং মোট ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে আদালতে রিট হয়েছে।

আজ সোমবার হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও হাসিবুল ইসলাম পৃথক দুটি রিট আবেদন করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরীকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (বড়ুয়া) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।

এ ছাড়া, মানুষ হত্যা, অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল, গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করায় তাদের রাজনীতি কেন নিষিদ্ধ করা হবে না—রুল দিতে আদালতে আর্জি জানানো হয়েছে।

দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তারা হাইকোর্ট বিভাগে পৃথক একটি রিট করেন।

রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আগামীকাল রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।

গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত আছে।

এই অবস্থায় সরকার 'সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯' এর ধারা ১৮ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ'কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Political parties with phantom addresses queue for EC nod

In its application for registration with the Election Commission, Janatar Bangladesh Party has said its central office is located on the 12th floor of Darus Salam Arcade near the capital’s Paltan intersection.

1d ago