হত্যাচেষ্টা মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন জেড আই খান পান্না
হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
আজ সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার আইনজীবী এহসানুল করিম গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এহসানুল করিম বলেন, 'আজকে শুনানিতে পান্না সাহেবকে পুলিশ রিপোর্ট জমার আগ পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে। সরকারপক্ষ থেকেও কোনো আপত্তি তোলা হয়নি।'
গণমাধ্যমকর্মীরা জেড আই খান পান্নাকে প্রশ্ন করেন, সম্প্রতি আপনি সরকারের বিভিন্ন বিষয়ের সমালোচনা করছিলেন। আপনি কি মনে করেন, এর পরে মামলা হলো? এর জবাবে পান্না বলেন, 'আমার মনে হয় না, সেই কারণে। সেটা হলে রাজনৈতিক মামলা হতো, আমি এটা গ্রহণ করতাম। সেটা কষ্টদায়ক হতো না কিন্তু এই মামলাটা আমাকে কষ্ট দিয়েছে, পীড়া দিয়েছে। কারণ এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা না।'
এর আগে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় পান্না বলেন, 'আমি এমন কোনো কাজ করিনি যাতে এই ধরনের একটা কেস হয়। রাজনৈতিক মামলা হতো, আমার আপত্তি ছিল না। জীবনে আমি বহু মামলা খেয়েছি, একটা হত্যা প্রচেষ্টা এবং মেরাদিয়া কোথায় আমি জানি না, যাইনি কোনোদিন—ভিন্ন বিষয় সেটা।'
দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, 'বাদী নাকি বলেছে আমাকে চেনেই না। এ তো এখানে পরিষ্কার। কিন্তু এটা কেন দেওয়া হলো, কী কারণে দেওয়া হলো—আমার বিবেক বা মুখটা বন্ধ করার জন্য হয়তো।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি মরে গেলেও আমার বিবেক আর মুখ বন্ধ হবে না।'
গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলামকে গুলি ও মারধরের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
গত ১৭ অক্টোবর আহাদুলের বাবা মো. বাকের (৫২) পান্নাসহ ১৮০ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহারে বলা হয়, আহাদুলসহ অন্যরা মেরাদিয়া বাজারের কাছে বিক্ষোভ করছিলেন। তখন নাম না জানা বিজিবি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অন্য আসামিদের নির্দেশে গুলি চালায়। এ সময় আহাদুল গুলিবিদ্ধ হন। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে থাকা আসামিরা তাকে মারধরও করে। পরে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
Comments