স্প্রেম্যান সুপারভাইজার পরিচয়ে পাসপোর্ট নিয়েছিলেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা কাফী
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী মিথ্যা পরিচয়ে পাসপোর্ট নিয়েছিলেন।
আজ সোমবার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মাসব্য ও অর্থ) এ টি এম আবু আসাদ এই তথ্য জানিয়েছেন।
গত ১৫ আগস্ট রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে গিয়ে কাফী তার অফিসিয়াল পাসপোর্ট জমা দিয়ে সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন করেন।
অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী অর্থাৎ সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবা দেওয়ার জন্য আগারগাঁও অফিসে ১০১ নম্বর নির্ধারিত কক্ষ ও সেখানে সুনির্দিষ্ট কর্মকর্তা আছেন। তবে কাফী সাধারণ পাসপোর্টের জন্য নির্ধারিত ১০৩ নম্বর কাউন্টারে কর্মরত উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) জাহাঙ্গীর আলমের কাছে আবেদনপত্রের হার্ডকপি জমা দিয়েছিলেন।
জাহাঙ্গীর ই-পাসপোর্টের ইন্টারভিউ মডিউলেও জমার অনুমোদন দেন। সুপার এক্সপ্রেস ফি জমা দেওয়ায় ওই দিনই পাসপোর্ট হাতে পান কাফী।
প্রায় ২০ দিন পর গত ৪ সেপ্টেম্বর কাফীর নামে সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যুর তথ্য জানতে পারেন উপপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন। এরপর তিনি নথি যাচাই করে দেখতে পান, সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের স্প্রেম্যান সুপারভাইজার পদে চাকরি থেকে ইস্তফাপত্রের একটি জাল প্রমাণ পাসপোর্টের আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিয়েছেন।
এরপর জাহাঙ্গীর আলমসহ পাসপোর্টটি ইস্যুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কাফীকে আটক করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ৮ সেপ্টেম্বর তার পাসপোর্ট বাতিলের আদেশ দেয়।
পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে একটি কমিটিও কাজ করছে।
Comments