আত্মসমর্পণের পর কারাগারে মাহমুদুর রহমান

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গত বছরের ১৭ আগস্ট মাহমুদুর রহমানের অনুপস্থিতিতে তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সাড়ে পাঁচ বছরের বেশি সময় নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে গত শুক্রবার সকালে দেশে ফেরেন তিনি।

আজ রোববার মাহমুদুর রহমান আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বেলা সোয়া ১১টা দিকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আইনজীবীরা বলছেন, কোনো মামলায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত কোনো আসামিকে জামিন দেওয়ার এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট আদালতের আছে। কিন্তু তিনি সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় তাকে জামিন দেওয়া যায়নি।

এ মামলায় গত বছরের ১৭ অগাস্ট মাহমুদুর রহমান, যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

বিচার চলাকালে আদালত জয়সহ রাষ্ট্রপক্ষের ১১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

২০১৫ সালের ৩ আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি দায়ের করলে শফিক রেহমান ও মাহমুদুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানকে মূল পরিকল্পনাকারী উল্লেখ করে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ডিবি।

মামুন আসামিদের সহযোগিতা ও প্ররোচনা দিয়েছেন বলেও অভিযোগপত্রে বলা হয়। সেখানে আরও উল্লেখ করা হয় যে রিজভী এফবিআইয়ের কাছ থেকে জয়ের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে বাকিদের দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের আগে মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপি জোটের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৈঠক করেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎকালীন আইসিটি উপদেষ্টা জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করেন।

২০১৫ সালের ৯ মার্চ এক ফেসবুক পোস্টে জয় অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতারা তাকে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করছে।

Comments

The Daily Star  | English

Trump, Musk feud explodes with threats of cutting contracts, backing impeachment

The hostilities began when Trump criticized Tesla CEO Musk in the Oval Office.

48m ago