আন্দোলন দমাতে লাইসেন্সকৃত ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে লাইসেন্সকৃত ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান।
আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সম্প্রতি নাগরিকদের দায়ের করা মামলায় আপনারা ভিআইপিদের গ্রেপ্তার করেছেন এবং রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদও করছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এসব হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ অথবা উসকানি দিয়েছিলেন। আপনারা রিমান্ডে কী জানার চেষ্টা করছেন—প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'গণআন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের মামলায় তারা আমাদের কাছে রিমান্ডে আছেন। তাদের কেউ হয়তো অর্থ নিয়োগ করেছেন, কেউ হয়তো পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকে আবার বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে এটিকে উৎসাহিত করেছেন। আমরা এসব বিষয় এই মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে পরিষ্কার হওয়ার জন্য।'
যেসব অপেশাদার পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সেসব নির্দেশদাতা পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখনো কেন আইনগত এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ সদস্য অনেকের নামে মামলা রুজু হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা, এটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে সময় লাগতে পারে। বিভাগীয় ব্যবস্থার বিষয়টি চলমান।'
অপেশাদার নির্দেশদাতা পুলিশ সদস্যদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত নেই। আমরা যাদের গ্রেপ্তার করতে পেরেছি, শুধুমাত্র তাদের তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে আছে। হতে পারে তারা পালিয়ে আছেন।'
বিশেষ কয়েকটি জেলার পুলিশ সদস্যরা ডিএমপিতে গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে ছিলেন। আপনার দায়িত্ব পালনকালীন এসব বিশেষ জেলার কর্মকর্তাদের পদায়ন হবে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'আমি এ বিষয়ে একমত নই, পুলিশ বাহিনীর সবাই পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবে। কে কোন জেলা থেকে এলো সেটি বিবেচনার বিষয় নয়। আমরা চাই একটি সুন্দর সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনী তৈরি করতে। যেখানে সব পুলিশ সদস্যের কাজ হবে পেশাদার।'
আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হাতে অস্ত্র দেখা গেছে। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, 'অনেকের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ব্যবহার হয়েছিল, আবার অবৈধ অস্ত্রও ব্যবহার করা হয়েছিল। কাজেই আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ, এগুলো কীভাবে জব্দ করবো, আমাদের সমানে অনেক চ্যালেঞ্জ। প্রতিটি বিষয় আমাদের মাথায় আছে, আমরা চেষ্টা করব নিয়ন্ত্রণের জন্য।'
Comments