হাসিনার বিরুদ্ধে রাজন হত্যা মামলার প্রতিবেদন ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমার নির্দেশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

রাজধানীর মিরপুরে গত ১৯ জুলাই কলেজ শিক্ষার্থী ফয়জুল ইসলাম রাজনকে (১৮) হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন ঢাকার একটি আদালত।

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকি আল ফারাবী মামলাটি পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তার আদালতে উপস্থাপনের পর এ তারিখ ধার্য করেন।

এই মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও সাবেক ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার চৌধুরী।

গত ১৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন নিহতের ভাই রাজিব।

শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি প্রথম তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) হিসেবে নথিভুক্ত করতে বলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজন কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশ নেন। ১৪ জুলাই শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বেড়ে যায়।

পরের দিন ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে পরিস্থিতি মোকাবিলার পরামর্শ দিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তেজিত করেন। অভিযোগকারী দাবি করেন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক ও অন্যরা নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের গুলি করার জন্য আইন প্রয়োগকারীদের নির্দেশ দেন এবং সহিংসভাবে বিক্ষোভ দমনের ষড়যন্ত্র করেন।

রাজন ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর মোড়ের কাছে গুলিবিদ্ধ হন এবং ডা. আজমল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা সরাসরি সহিংসতার সঙ্গে জড়িত বা সহায়তা করেছিল এবং এ কারণেই রাজন নিহত হন।

৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

এরপর থেকে এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে সাতটি হত্যা, একটি অপহরণ এবং বাকি দুটি মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে।

Comments

The Daily Star  | English

US tariff at 20% 'satisfactory', says Khosru

Will comment after knowing full details of the deal

45m ago