মহেশখালীতে প্যারাবন নিধন, আ. লীগ নেতাসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি: সংগৃহীত

মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপে কয়েকশ একর প্যারাবন কেটে লবণের মাঠ, চিংড়িঘের ও মাছের প্রজেক্ট করায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

সরকারি জমি দখলের এই মামলায় আসামিদের মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও সরকার দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক ফাইজুল কবির বাদি হয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে এই মামলা করেন।

মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন, মহেশখালী উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জসিম উদ্দীন (৪০), মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের  সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল করিম (৪৫), কুতুবজোমের সাবেক মেম্বার নুরুল আমিন খোকা (৪১), বর্তমান মেম্বার মো. ছিদ্দিক রিমন (৩৯), সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন (৬২), সোনাদিয়ার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবের আহমেদ (৪৮), বড় মহেশখালীর ফকিরাঘোনার বাসিন্দা মহসিন আনোয়ার (৫০), ঘটিভাঙ্গার ওসমান আলী (৬১), ঘটিভাঙ্গার রবিউর আলম (৪২), সোনাদিয়া পূর্বপাড়ার মো. ফারুক (৪১), জাহাঙ্গীর আলম (৪২), জাফর আলম (৬০), মো. তারেক (৩৫), আমিরুজ্জামান (৬২), সাজ্জাদুল করিম (৩৮), শাহাদাত কবির (৪৫), সোনামিয়া (৩৭), শহিদুল্লাহ সিকদার (৬৮), মো. নেজাম (৪৩), আমির হোসেন (৫৪), নাসির উদ্দিন (৫০), শফি আলম (৪৫), মো. আলম শরিফ (৪৭), জয়নাল আহমদ (৪৫),  আমির হোসেন কোম্পানি (৪৮) ও আজিজুল হক (৪৬)।

জানা গেছে, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় প্রায় ৫৬২ একর জায়গায় গত জানুয়ারি থেকে প্যারাবন কেটে বাঁধ নির্মাণ, চিংড়ি ঘের ও লবণ মাঠ তৈরি করা হচ্ছিল।

তারা প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন মহেশখালীর (ইসিএ) এলাকা সোনাদিয়া উপদ্বীপ এবং কুতুবজোমের ঘটিভাঙ্গা মৌজার ৪৯১৬ হেক্টর এলাকার (ইসিএ) অন্তত ৭টি জায়গায় হাজার হাজার বাইন, কেঁওড়া, কেয়া গাছের প্রাকৃতিক বন (ম্যানগ্রোভ) কেটে সেখানে বাঁধ নির্মাণ করে সরকারি জমি দখল করেছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিচালক সোলায়মান হায়দার বলেন, মহেশখালীর কুতুবজোম, সোনাদিয়ার বিভিন্ন স্থানে সরকারি ভূমির প্যারাবন নিধন করে চিংড়িঘের, লবণের মাঠ, মাছের প্রজেক্ট করে আসছিল স্থানীয় ব্যক্তিরা। সরজমিনে পরিদর্শন করে এই প্যারাবন নিধনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর একটি মামলার এজাহার মহেশখালী থানায় জমা দিয়েছে। 

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, মামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

18h ago