লিবিয়ায় বাংলাদেশিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার ২

মুক্তিপণ দেওয়ার পর ভুক্তভোগীদের ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পাঠানো হতো।
arrest logo
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

লিবিয়ায় মানবপাচার ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-কক্সবাজারের পেকুয়ার বাদশা মিয়া (৪২) ও আরজু বেগম (৩১)।

এক লিবিয়াপ্রবাসীকে আটকে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় করা মামলায় কক্সবাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, গত বছরের ডিসেম্বরে লিবিয়ায় যাওয়া মাগুরার বাসিন্দা নাছিরকে আটকে দেশে তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হয়।

এ ঘটনায় নাছিরের পরিবারের করা মামলার তদন্তকালে সিআইডি জানতে পারে চক্রটি অসহায়দের উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে প্রথমে ভিজিট ভিসায় দুবাই নিয়ে যায় এবং পরে লিবিয়ায় অবস্থানরত গ্রেপ্তার আরজু বেগমের স্বামী রেজাউল করিমের তত্ত্বাবধানে আটক করে।

পরে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশে তাদের অন্য চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নতুন চক্রটি ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছে ইমোতে ফোন করে নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। 

মুক্তিপণ দেওয়ার পর তাদের ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পাঠানো হতো। এই প্রক্রিয়ায় অনেকে সাগরে মারা গেছেন, কয়েকজনকে উদ্ধার হয়েছে এবং অল্প কয়েকজন ইউরোপে পৌঁছাতে পেরেছেন। 

ভুক্তভোগী নাছির গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর চাচা ওমর আলীর মাধ্যমে ভারত ও দুবাই হয়ে লিবিয়া যান। সেখানে লিবিয়া প্রবাসী মাহবুবুর রহমান ছদরুলের তত্ত্বাবধানে তিনি টাইলসের কাজ করতেন। চার মাস আগে নাছিরকে লিবিয়ার অজ্ঞাতস্থানে মানবপাচারকারী চক্র আটকে রাখে এবং দেশে তার পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে।

গ্রেপ্তার বাদশা মিয়া ও আরজু বেগমকে আদালতে হাজির করা হলে তারা মানবপাচারকারী চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে সিআইডি জানিয়েছে।

Comments