ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ মামলা: অভিযোগ গঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন

স্টার ফাইল ফটো

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগ গঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলার পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার একই মামলার অভিযুক্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. ইউসুফ আলী ও অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ এ আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, তারা কোনো অপরাধ করেননি। কিন্তু নিম্ন আদালত গুগলের এআই টুল ব্যবহার করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন, যা আইনসিদ্ধ নয়।

এর আগে গত ১২ জুন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেশ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন। 

এ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আবেদনে দুই আইনজীবী বলেন, এই ২৫ কোটি ২২ লাখের সঙ্গে আরও ১ কোটিসহ মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের তালিকাভুক্ত ১৬৪ কর্মী আইনজীবীর ফি সহ অন্যান্য খরচ মেটাতে ট্রেড ইউনিয়নে দিয়েছিলেন।

ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধি দুই আইনজীবীকে ফি দিয়েছেন এবং এটি কোনো অপরাধ নয় জানিয়ে মামলার বিচার কার্যক্রম বাতিলের প্রার্থনা করা হয় আবেদনে।

আজ বুধবার আবেদনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য আনেন। কিন্তু বেঞ্চ এ সপ্তাহের জন্য শুনানি স্থগিত করে এবং ছুটির পর আদালত খোলার পরে এটি উপস্থাপন করতে বলেন।

আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বার্ষিক ছুটি চলছে এবং ছুটি শেষে ৩০ জুন আদালত চালু হবে।

দুদকের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

চলতি বছরের ২ এপ্রিল ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত অধ্যাপক ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

মামলায় অভিযুক্ত বাকি ১৩ জন হলেন—গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।

এ মামলায় গত ২ মে অভিযুক্তদের জামিন দেন আদালত।

 

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

3h ago