শরীয়তপুরে আদালত চত্বর থেকে হাতকড়া খুলে পালানো আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
শরীয়তপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার আগে পালিয়ে যাওয়া সন্দেহভাজন হত্যা মামলার আসামি বাবু ফকিরকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর টিকাটুলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাবু ফকির শরীয়তপুরের নড়িয়ার মোহাম্মদ আলী মাদবর (৪০) হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি।
পুলিশ জানায়, গত ২৪ এপ্রিল শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জপসা গ্রামের আমিন উদ্দিন মাদবরের ছেলে মোহাম্মদ আলী মাদবরকে হত্যার দায়ে শরিয়তপুর সদর উপজেলার পূর্ব কোটাপাড়া এলাকার বাবু ফকিরকে আটক করে পুলিশ।
গতকাল শনিবার বিকেলে জবানবন্দি নেওয়ার জন্য শরীয়তপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হয়।
বিকেল ৫টার দিকে আদালতে মুন্নি বেগমের জবানবন্দি চলছিল। এই সময় বাবু ফকির হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় বাইরে বসা ছিল। এসময় কৌশলে হাতকড়া খুলে বাবু পালিয়ে যায়।
শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহাবুবুল আলম আজ সকালে বাবু ফকিরকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা খবর পাই বাবু ফকির ঢাকায় অবস্থান করছেন। আমরা তার অবস্থান নিশ্চিত করি। পালিয়ে যাওয়ার ১১ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আজ ভোরে তার বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আসামি পালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনো পুলিশ সদস্যের দায়িত্ব অবহেলা পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শরীয়তপুর পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের একটি পুকুর থেকে মোহাম্মদ আলী মাদবর নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃতের বড়ভাই কারামত আলী গত শুক্রবার অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে শরীয়তপুর সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দুজনের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগে মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মুন্নি বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত শুক্রবার বাবু ফকিরকে আটক করে পুলিশ।
পরদিন সদর থানা পুলিশ মুন্নী ও বাবুকে বিকেলে শরীয়তপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য হাজির করে। মুন্নি যখন আদালতে বিচারকের কাছে জবানবন্দি দিচ্ছিলেন এই সময় বাবু ফকির পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে কৌশলে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ।
Comments